টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানার প্রাইভেটকার চালকে হত্যার ৩ মাস পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে জি.এম.পি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হাসান এক প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান।
জানা যায় চলতি বছরের ১ মার্চ রাতে জিএমপি গাছাথানাধীন মালেকের বাড়ী এলাকার এমাজিং ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার প্রাইভেটকার চালক জাহিদুল ইসলাম (৩৫) ঢাকায় কারখানার কয়েকজন কর্মকর্তাকে নামিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন।
পথিমধ্যে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাছিমপুর পিপলস সিরামিক কারখানার সামনে প্রাইভেটকার থামিয়ে সড়কের সামনে প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া দিতে যায় । এসময় ৩/৪ জনের একদল ছিনতাইকারী তাকে এলোপাথারী ছুড়িকাঘাত করতে থাকে।
এসময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে ছিনতাই কারীরা দ্রত পালিয়ে যায়। পুলিশ জাহিদকে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে ঘটনার একদিন পর (২ মার্চ ২০২১) নিহতের বড় ভাই মো. ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নেওয়াজ ঘটনাস্থলসহ আসামীদের পালিয়ে যাওয়ার গতিপথের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার দক্ষিণখান ময়নার টেক এলাকার
ছবির হোসেনের ছেলে শিপন (২৩) ও টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার মো. রুবেল মিয়ার ছেলে মো. রাব্বি (২১) কে বুধবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় ছিনতাই ও মাদকের মামলা রয়েছে।