নোয়াখালীতে দিন দিন বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় এফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৩৩৬ জন। মোট আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোন মৃত্যু হয়নি। জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৯ জনে।
মৃত্যুর হার ১দশমিক ২৫শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৪জন, সুবর্ণচরে ২জন, বেগমগঞ্জ-৪৫জন,সোনাইমুড়ীতে ৮জন,চোটখিল ১৩জন, সেনবাগ-১৭জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪জন ও কবিরহাট ১৬জন।
মঙ্গলবার ( ২২জুন) সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে সোমবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এই সব তথ্য তাদের সামাজিক মাধ্যমের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে।
ডা.মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ জন সদর উপজেলার, বেগমগঞ্জের ৭ জন, সোনাইমুড়ীর ১জন, চাটখিলের পাঁচজন, সেনবাগ একজন, কোম্পানীগঞ্জের সাতজন ও কবিরহাটের ৬জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ২৯২ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এদিকে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ুুই হাজার ৯১৫জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ৩৭ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬জন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে করোনার প্রকোপ না কমায় নোয়াখালী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়নে চলমান লকডাউন তৃতীয় দফায় আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে ৫-১১ জুন ও দ্বিতীয় দফায় ১১-১৮ জুন নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তবে করোনার প্রকোপ না কমায় চলমান এ লকডাউন আরও সাতদিন বর্ধিত করা হয়েছে।
আগামী ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন কার্যকর থাকবে। একই সঙ্গে আগের সব বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে জেলা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণা করেন। নোয়াখালী পৌরসভা ছাড়াও সদর উপজেলার নেয়ান্নই, বিনোদপুর, কাদির হানিফ, নেয়াজপুর, অশ্বদিয়া ও নোয়াখালী ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন কার্যকর রয়েছে।