বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার মুরাদপুরে জমির মরিচ তোলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৫জন আহত হয়েছে। এবিষয়ে সুষ্ঠ বিচারের জন্য শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
০৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর গ্রামে প্রতিপক্ষরা আকস্মিকভাবে এ হামলা চালায়। হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে মুরাদপুর গ্রামের আবু হারেজ সরকারের ছেলে রাজু সরকার (৩২) শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
বাকিরা শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। হামলায় অন্য আহতরা হলেন, মুরাদপুর গ্রামের আবু হারেজ সরকারের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২), সাজু মিয়া (৩৩), আবু হারেজ সরকারে স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬৫) ও শহিদুলের স্ত্রী মফেলা বেগম (৩৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষ হাফিজারের মেয়ে নিশা বাদী সাজু মিয়ার বন্দোবস্ত নেওয়া জমিতে চুপিসারে মরিচ তোলে। বাদীর স্ত্রী সেলিনা বেগম মরিচ তোলার বিষয়টি জানতে পেরে হাফিজারের বাড়িতে গিয়ে নিষেধ করে চলে আসে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র লিটন (২৫) ও মিলন (৩০), মৃতঃ হাসেন আলী সরকারের ছেলে হাফিজার রহমান (৫০) ও মোজাফ্ফর সরকার (৪৫), হাফিজার রহমানের ছেলে মেহেদী সরকার (১৯) ও স্ত্রী মুঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদীসহ তার পরিবারের উপর অর্তকৃতভাবে হামলা চালায়।
শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে গুরুতর আহত রাজু সরকার বলেন, বিনা উষ্কানীতে প্রতিপক্ষরা আমার ও আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে। সরেজমিনে গেলে বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম বলেন, আমিসহ আমার ছেলেদের উপর সম্পন্ন অন্যায়ভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
বাদী সাজু মিয়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামে বসবাস করি। প্রতিপক্ষের লোকেরা ক্ষমতার দাপটে আমাদের উপর এ হামলা চালিয়েছে। আমরা হামলার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। এবিষয়ে বিবাদী পক্ষের কোন বক্তব্যে পাওয়া যায়নি।
মারপিটের বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার এসআই রিপন মিয়া বলেন, মারপিটের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।