কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে শ্যালকের আঘাতে দুলাভাই শাহজাহানের(৩৫) মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাহজাহান সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মদনেরচর গ্রামের মৃত শহিদ আলীর ছেলে। পাশ্ববর্তী মুন্সিপাড়া গ্রামের ছমের আলীর মেয়ে শরিফা খাতুনের সাথে প্রায় ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের দুটি পুত্র সন্তান আছে।
স্থানীয় সূত্র এবং নিহতের চাচা আকবর আলী বলেন, শাহজাহান ও তার স্ত্রী শরিফা খাতুন দুই জনের জমানো টাকা দিয়ে একটি পাওয়ার টিলার কিনেছে।অন্যের জমি চাষ করে ৪ সদস্যের এই পরিবারটির ভরনপোষণ চলত।
সোমবার স্বামী স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়।এসময় শাহজাহান রাগের মাথায় পাওয়ার টিলারটি বিক্রি করার কথা বলে বাড়ি থেকে পাওয়ার টিলারটি বের করে নিয়ে যায়।
এসময় তার স্ত্রী মোবাইল ফোনে তার ভাই শহিদুল ইসলামকে খবর দেয়। বোনের কাছে খবর পেয়ে শহিদুল টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে আকস্মিক ভাবে পিছনে থেকে শাজাহানের মাথা ও পিঠে আঘাত করে।সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায় শাহজাহান।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করে।সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩ টার দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করে।
পরে নিহতের স্বজন ও স্ত্রী শাহজাহানের লাশ মঙ্গলবার ভোর বেলায় রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রাজীবপুর থানা পুলিশ নিহতের স্ত্রী শরিফা খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজীবপুরে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবার থেকে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। তার লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রীকে প্রাথমিক ভাবে আটক করা হয়েছে।