সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা বোঝাই ইঞ্জিনের নৌকা আটক করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্ভর) দুপুরে নদী পথে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার সামনে অবস্থিত ডিপুতে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয়।
আটককৃত নৌকা ও চোরাই কয়লার মুল্য প্রায় ৮লাখ টাকা বলে জানাগেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে-গতকাল রবিবার (২৯ সেপ্টেম্ভর) রাত সাড়ে ১২টা থেকে তাহিরপুর উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট
এলাকার আদর্শগ্রাম,বাঁশতলা ও বড় মসজিদের সামনে ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করে নৌকা বোঝাই শুরু করে চোরাকারবারী শামসু মিয়া,সবুজ মিয়া,জামির আলী, শরাফত আলী, রুবেল মিয়া,রফ মিয়া,শফিকুল
ইসলাম ভৈরব,জাহের আলী,ফারুক মিয়া,খোকন মিয়া,হারুন মিয়া,আব্দুল্লাহ,সোহেল মিয়া,বাবুলমিয়া,আনোয়ার হোসেন বাবলু,দীপক মিয়া,আইনাল মিয়া,রিপন মিয়া,সাইফুল মিয়া ও তোতলা আজাদগং।
অন্যদিকে একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের রজনীলাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জামাল মিয়া, রুসমত মিয়া, নজরুল মিয়া, নজির মিয়া, জহির মিয়া, হারুন মিয়া, রুবেল মিয়া, আক্কল আলীগং প্রায়
৩শ মেঃটন কয়লা ও মদ পাচাঁর করে। একই সময়ে রাজাই ও কড়ই গড়া এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী জম্মত আলীগং ২শ বস্তা সুপারী, ২৬০বস্তা চিনি, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মদ পাচাঁর করাসহ এই সীমান্তের পর্যটন কেন্দ্র
বারেকটিলার ১২০২নং পিলার সংলগ্ন আনন্দ নগর গারো বস্তির ২নং গেইট ও জাদুকাটা নদী দিয়ে পৃথক ভাবে ৫শ বস্তা চিনি, ৩৭০বস্তা ফুছকা, মদ, গাঁজা ও নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করেছে একাধিক চোরাচালান মামলার
আসামী শাহিবুর মিয়া, ফখর উদ্দিন, তোতা মিয়া, বুটকন মিয়া, বুলবুল মিয়া, রফিক মিয়া, নিজাম মিয়া ও তোতলা আজাদগং। এসবের বিনিময়ে দেশীয় ৫শ বস্তা রসুন, ২শ কেজি মাছ ও শাক-শবজি ভারতে পাচাঁর করে। কিন্তু বিজিবির পক্ষ এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার
খবর পাওয়া যায়নি।