প্রায় ৪৭ বছরের পুরোনো ভোলার তজুমদ্দিনে ৩১ শয্যা হাসপাতালের ভবনটি মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালটির অন্তঃবিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে যায়।
এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। ফলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীরাও আতংক থাকেন সব সময়।
জানা যায়, উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট তজুমদ্দিন সরকারী হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছরেও প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় দিনে দিনে ভবনটি মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পলেস্তারা খসে পড়ে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
জরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অন্তঃবিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল।
নির্মাণের পর থেকে ভবনটির যথাযথ পরিচর্যার অভাবে হাসপাতালটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। হাসপাতালটিতে তজুমদ্দিন ছাড়াও মনপুরা থেকেও রোগীরা আসেন চিকিৎসাসেবা নিতে।
তজুমদ্দিন উপজেলার অন্তত ২লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল তজুমদ্দিন হাসপাতালটির মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির যথাযথ সংস্কার করেই পাশেই ২০ শয্যার নতুন ভবনটি উদ্বোধন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়োগ দিয়ে চালু করার দাবী জানান উপজেলার সচেতন মহল।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী লোকমান হোসেন, সফিজল ইসলাম ও মহিন জানান, রোগী হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সব সময় আতংকে থাকি কখন রুমের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পরে বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হই।
তজুমদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আমজাদ হোসেন বলেন, অন্তঃবিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় রোগীদের পাশাপাশি ডাক্তার, নার্সসহ অন্যষ্টার্ফরাও ঝুঁকিতে থাকে।
কারণ হাসপাতালের জনবল সংকট থাকায় কর্মরতদের বেশি বেশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্তঃ বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিতে যেতে হয়।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল বলেন, হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ছাদটিসহ অনেক জায়গাই ঝুঁকিপূর্ণ।
বিষয়টি আমরা হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও ভোলা সিভিল সার্জন অফিসের মিটিংয়ে জানানো হয়ে। গত ১/২ মাস আগে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ছাদের একটি অংশ খসে পড়ে কর্মরতরা তখন অফিসে থাকলে হয় মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত থাকত।