কুড়িগ্রামের উলিপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বাদ্দকৃত ল্যাপটপ বিতরনে অর্থ আদায়ের ঘটনায় শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক অমূল্য চন্দ্র রায়কে শোকজ করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে জানা যায়, অভিযুক্ত অমূল্য চন্দ্র রায় অত্র অফিসে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে অফিস সহায়ক পদে
কর্মরত রয়েছেন। গত ২০ মার্চ ল্যাপটপ বিতরণকালীন সময়ে তিনি কতিপয় শিক্ষকের নিকট হতে উপরি পাওনা হিসেবে অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়াও গত ২৭ ও ২৮ মার্চ দুইদিন বিনা অনুমতিতে
অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। যা চাকুরি বিধির সম্পন্ন পরিপন্থি। তাকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার(৩১ মার্চ) উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমির হোসেন জানান, তিনজন সহকারী শিক্ষা অফিসার(এটিও) ও তিনজন প্রধান শিক্ষককে নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।
তারা আগামী রবিবার থেকে ল্যাপটপ বিতরণ শুরু করবেন। এবং যে সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল, এই কমিটি তা ফেরত দিবেন।
এর আগে আপনি ল্যাপটপ নিয়ে আসতে ট্রাক ভাড়া দিতে হয়েছে বলে ল্যাপটপ প্রতি দুই-একশ টাকা নিতে বলেছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাড়া বাবদ নিতে বলেছিলাম কিন্তু এখন
আর কোন টাকা নেয়া হবে না। যে টাকা খরচ হয়েছে, প্রয়োজনে তা নিজের বেতন থেকে দিবো।উল্লেখ্য, উলিপুর উপজেলার ২শত ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ওয়ালটনের (প্যাশন
বিএক্স মডেল) একটি করে ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়।গত রোববার (১৯ মার্চ) ল্যাপটপ বিতরণ শুরু হয়ে সোমবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রায় ১’শ টি ল্যাপটপ বিতরন করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন তার অফিসে বসে কর্মচারীদের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে খরচ বাবদ ল্যাপটপ প্রতি দুই-একশ টাকা নিতে
নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিটি ল্যাপটপের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেন অফিস সহায়ক অমূল্য চন্দ্র রায়। সরকারি বরাদ্দের ল্যাপটপ নিতেও উৎকোচ দিতে হয় জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।