বশির আলম,প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত, সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম শাহাদৎ বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
তার নিজ বাড়ি হায়দরাবাদ গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার ৭ই মে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে পবিত্র কোরআনখানি, কালো ব্যাচ ধারণ, স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
হায়দরাবাদ মাঠে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন , শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য পুত্র গাজীপুর ২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ মুহাম্মদ মশিউর রহমান, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।তারই ধারাবাহিকতায় মামদী মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয় পক্ষ থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মকছুদুর রহমান রতন এর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের মাটি মানুষের অত্যন্ত প্রিয় নেতা ছিলেন আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি। তিনি ছিলেন শোষিত বঞ্চিত নিপীড়িত মানুষের একান্ত স্বজন। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের শেষ ঠিকানা।
অথচ বিএনপি জামাতের খুনীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি আশা করি, অবিলম্বে এ পাশবিক হত্যার বিচার হবে। তাহলে বিএনপি জামাত যারা সবসময় খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে তারা রাজনৈতিক হত্যাকান্ড সংঘটিত করার সাহস দেখাবে না। তিনি তার পিতার জন্য দোয়া করতে দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানান।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুইবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি কর্মীসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে।।