মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জের পল্লীতে প্রায় ২০বছর যাবত জীবন্ত গাছের মাঝে ঝুলছে পিডিবি’র বিদ্যুতের লাইন।
বৈদ্যুতিক খুঁটির বদলে জীবন্ত গাছের মাঝে টানানো বিদ্যুতের লাইন নিয়ে বর্তমানে মহাবিপদে পড়েছে এলাকাবাসী। কিন্তু তাদের এই যেন দেখার কেউ নাই।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আর্সেনিকের গ্রাম গিরিশনগর।
ওই গ্রামের ফায়জুর রহমানের বাড়ি থেকে শুরু করে পাশর্^বর্তী এখলাস ফরাজির পুকুরপাড় হয়ে গ্রামের আশেপাশের প্রতিটি বসতবাড়ির জীবন্ত গাছ, বাঁশ ও নড়বড়ে খুটির মাঝে টু-টুয়েন্টি বিদ্যুৎ
সংযোগ লাইন দেওয়া হয়েছে। হাতের নাগালে দীর্ঘদিন যাবত ঝুলে থাকা এসব বিদ্যুতের লাইন বর্তমানে মানুষের জীবনের ঝুকি হয়ে দাড়িয়েছে। তারপরও পিডিবি’র পক্ষ থেকে এব্যাপারে আজ
পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে আর্সেনিকের গ্রাম গিরিশনগরে চারদিকে এখন বিদ্যুৎ আতংক বিরাজ করছে।
এজন্য বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা লোকজনের দায়িত্বহীন কর্মকন্ডা দেখে নানান প্রশ্ন উঠেছে।
এব্যাপারে ভোক্তভোগী গ্রাহক এখলাস ফরাজি, ফায়জুর রহমান, সবুুজ মিয়া, ইসলাম উদ্দিনসহ আরো অনেকেই বলেন- আমাদের গিরিশনগর গ্রামে ৫০জন বৈধ মিটারধারী গ্রাহক রয়েছে।
আমরা সরকারী ভ্যাটসহ নিয়মিত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে চরম ঝুকির মাঝে আছি। যে কোন সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটতে পারে প্রাণহানীর ঘটনা।
বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা লোকজন শুধু আশ^াস দিয়ে তাদের দায় সারে। কিন্তু আমাদের এই সমস্যা তারা সমাধান করে দেয়না। ২০বছর যাবত আমরা এই সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু দেখার কেউ নাই।
এব্যাপারে পিডিবি’র বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের ছাতকের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের বলেন- গিরিশনগন গ্রামের বিদুৎ লাইনের কি অবস্থা তা আমার জানা নেই। অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব।