কুড়িগ্রামের উলিপুরে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ সােহানুর রহমান সােহান’র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অর্জুন কুমার নামে এক গ্রাহক গত ১০-০৩-২০২২ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ
বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের অর্জুন কুমার কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের একজন আবাসিক গ্রাহক।যার হিসাব নং –
০২/৮৭৪/৭৩২৬ এবং মিটার নং- ০০২১৫২৭৮। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক ১.৫০ কিঃ ওঃ লােডের অনুমােদন নিয়ে বসতবাড়ির পাশে ১৫ শতক উঁচু জমিতে পানি দিয়ে আসছেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী-২০২২ ইং মাসে ১,৫০০/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে ওই গ্রাহক উলিপুর পল্লী
বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে উপস্থিত হয়ে ডিজিএম’র কাছে জরিমানার বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তার সাথে অসদ আচরন করেন। এ বিষয়ে বুধবার(১৬ মার্চ) বিকেলে উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোঃ সােহানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি
রেগুলেটরি কমিশন(বিইআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী যদি কোন আবাসিক মিটার থেকে চাষাবাদ করতে হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসের অনুমোদন সাপেক্ষে সেটা করা যায়। কিন্তু কোন বিদ্যুৎ বিলের উপরে যদি ১.৫ কিংবা ২ কিঃ ওঃ লােড থাকে, তার মানে এই নয়, সে জমিতে পানি দিতে পারবে,
জমিতে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অফিসের অনুমোদন নিতে হবে। অভিযোগকারীর জমিতে পানি দেওয়ার অনুমোদন না থাকায় তার জরিমানা করা হয়েছে। অফিসে এসে তিনি অনুমোদনের কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। যদি ওই গ্রাহক অনুমোদনের কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলে তার
জরিমানা বাদ দেওয়া হবে। ওই গ্রাহকের সাথে অসদ আচরনের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার জানান, লিখিত অভিযোগটি দেখে তদন্ত করে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মোঃ মহিতুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।