কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া ৫ জেএমবি সদস্যকে কুড়িগ্রাম কারাগার থেকে জেলা জজ আদালতে নেয়া হয়েছে। সোমবার
দুপুর দেড়টায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান’র আদালতে দুটি মামলায় যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা। একটি হত্যা মামলা ও অপরটি বিস্ফোরক আইনে দাযেরকৃত
মামলায় সরকারের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন ও আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির যুক্তি তর্কে অংশ নেন। পরবর্তী শুনানী আগামি
জুন মাসের ২৩ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞ বিচারক নির্দেশনা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়াল পাড়া এলাকায় প্রাত:ভ্রমণের সময় ধর্মান্তরিত খৃস্টান
মৃুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে ককটেল ফাঁটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পরবর্তীতে ৭ নভেম্বর কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ১০ জেএমবি সদস্যকে
অভিযুক্ত করে কুড়িগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশীট জমা দেন। সরকারি কৌশলী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, নিষিদ্ধ সংগঠন জুম্মাতুল
মোজাহিদীন বা জেএমবি ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে কিভাবে হত্যা করেছে, কারা কারা জড়িত ছিল ১৬৪ ধারায় তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দী দিয়েছে। জবানবন্দী তারা প্রত্যাহার করেনি। আজ
বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় সওয়াল-জবাব করা হয়। আগামীতে মামলায় রায় হতে পারে। আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আমরা চাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।