মোঃ জাহাঙ্গীর আল, নোয়াখালীতে ১৮ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ওই মেলার উদ্বোধন করেন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর
রহমান বেলায়েত। মুক্তিযুদ্ধ পরিষদের কর্তৃক আয়োজিত ওই বিজয় মেলা চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীরমুক্তিযোদ্ধা নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত বলেন,মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বিদ্রোহী বাঙালির জয়’, এই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার
শ্লোগান। সে শ্লোগানটি এখন যেন শুধু শ্লোগানের জন্য ও মানার জন্য নয়, এ শ্লোগানের ভেতর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাঙালিয়ানার আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সারাদেশ তখন শহীদ জননী জাহানারা
ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতই মুক্তিযুদ্ধের মেলা শুরু করা ক্ষেত্রে মূল সূতিকাগার অনুপ্রেরণা। মাহমুদুর রহমান বেলায়েত আরও বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ আন্দোলনকে প্রণোদিত করার আরো একটি কারণ। সেই
ধারাবাহিকতায় আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ১৮ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা চলবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকি, জেলা প্রশাসক
দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নোয়াখালীর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন প্রমুখ। জেলা প্রশাসক দেওয়ান
মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ। বিজয় মেলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চর্চায় জনমত তৈরি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগামীতে স্মার্ট
বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই কাজ করে যাব বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, মেলায় দেশি পণ্যের শতাধিক স্টল রয়েছে।
প্রতিদিন মেলার মুক্তমে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।