কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরে বাদাম চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় তিস্তার চর জুড়ে একর কা একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। তবে বর্তমান বাজারে বাদামের বীজ, তেল, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাদাম চাষ
করতে হিমশিম খাচ্ছেন বাদাম চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উলিপুর উপজেলায় প্রায় ৪’শ ৮০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এছাড়া অফিস থেকে ১’শ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের প্রনোদনা হিসাবে চিনা বাদামের বীজ ১০
কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি করে দেয়া হয়েছে। সরেজমিন উপজেলার তিস্তায় ভেসে উঠা চরে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাদাম চাষ করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন বাদাম চাষিরা। একর ময় একর জমিতে বাদাম চাষের দৃশ্য দেখে মনে হয় বাদাম
চাষিদের এক মিলন মেলা। বাদাম চাষিরা বলেন, বাদাম চাষ একটি লাভজনক ফসল। ফলন ভালো হলে খরচের থেকে দ্বিগুন দাম পাওয়া যায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবারে বাদামের বীজ চড়া দামে কিনতে হয়েছে। তারা আশা করেন এবারে বাদামের ফলন ভালো হলে ও বাজার ভালো থাকলে
অনেক লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তারা। তিস্তায় ভেসে উঠা থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ান সাতরার চরে বাদাম চাষিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম (৪০) বলেন, এবারে প্রায় ১০ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ১০ মণ বাদামের বীজ লাগানোর জন্য ক্রয় করা হয়েছে। যার মুল্য প্রায় ৮০
হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, বাদাম উঠানো পর্যন্ত মোট ব্যায় হবে প্রায় ৪ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। বাদামের ভালো ফলন হলে প্রায় ২’শ ৫০ মণ থেকে ৩’শ মণ বাদাম ফলন পাওয়ার আশা করছি। বাজার দর মণ প্রতি ৩’হাজার টাকা থাকলে তাতে মোট ৭ লক্ষ ৫০ হাজার
থেকে ৯ লক্ষ টাকা আয়ের আশা করেন। তবে তিনি আরও বলেন, বর্তমান তেল, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য সামগ্রীর মূল্য যে ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া তিস্তার চর গুলোর মধ্যে দলদলিয়ার চর, জুয়ান সতরার চর, পানিয়ালের চর, হোকডাঙ্গার চর, বজরা
ইউনিয়নের টিপমার চর, বজরার চর, সাতালস্কারের চরের বাদাম চাষিদের মধ্যে মফিজল, মকবুল, এয়াকুব, ফরহাদ, সিদ্দিক, আনারুল, আমজাদ ও জাকিরুল সহ আরও অনেক বলেন, এবারে বাদামের বীজ চড়া দামে ক্রয় করে চাষ করতে হচ্ছে। বাদাম চাষ একটি লাভজনক ফসল। এবারে
বাদামের ফলন ভালো হলে অনেক লাভবান হতে পারব। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন বলেন, উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ মাঠে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
বাদামের ভালো ফলন করতে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবং বাদামের ফলন ভালো হলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। #