বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে বিতর্ক মাথায় গত ২৭শে মার্চ আইপিএল খেলতে ভারতে পা রাখেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি ভারতে যাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমে কথা বলেননি বিসিবির কেউ। তবে পরিস্থিতি ‘ঠান্ডা’ হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হস্তক্ষেপে। নিজেই সেটা জানিয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ফেরা সাকিবের কোয়ারিন্টাইন পর্ব শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২ এপ্রিল)। শনিবার (৩ এপ্রিল) থেকে ব্যাট-বলের অনুশীলনে নামবেন।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সাকিব কথা বলেছেন ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র সঙ্গে। ভারতের অন্যতম শীর্ষ সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতিকে। সাকিব বলেন, সবকিছু ভালোভাবেই শেষ হয়েছে। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই বিসিবি কর্মকর্তাদের। বিশেষ করে সভাপতিকে। তিনি সুষ্ঠুভাবে এটার সমাধান করেছেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত চিঠির মাধ্যমে সাকিব আইপিএলের জন্য ছুটি চেয়েছিলেন ঠিকই। তবে সেখানে সময় উল্লেখ করেননি। বিসিবি সাকিবের ছুটির সময় নির্ধারণ করে। এই বিষয়টা নিয়েই মূলত বিতর্ক।
সাকিবের চিঠি ঠিকমতো না পড়ার দাবি করার পর সংবাদমাধ্যমে আকরাম খান (ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান) ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, আমরা তার চিঠি পড়ে ভুল বুঝতে পারি। সে হয়তো টেস্ট খেলতে চায়। আগ্রহ থাকলে অবশ্যই সে টেস্ট খেলবে। সে ক্ষেত্রে তাকে দেওয়া আইপিএলের অনাপত্তিপত্রটি আমরা পুনর্বিবেচনা করবো।
তবে পরে আবার বলেছেন, ও (সাকিব) যে সময়ের জন্য ছুটি চেয়েছে, সে সময়ে শ্রীলঙ্কায় আমাদের দু’টি টেস্টই খেলতে যাওয়ার কথা। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নয়। সাকিব তো ওই সিরিজটা না খেলেই আইপিএল খেলতে চেয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় সাকিব দায় চাপিয়েছেন বিসিবি কর্তাদের উপরই। সাকিব বলেন, আমি ইচ্ছে করে কখনই বিতর্কে জড়াতে চাই না। কিন্তু এটা তারাই (বিসিবি কর্তা) করেছে। তবে এটা এড়ানো যেতো।