বশির আলম,গাজীপুরে ৯ বছর বয়সী এক মাদরাসা পড়ুয়া শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে গাছা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান। গ্রেফতার সোহাগ টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার তেপাড়িয়া গ্রামের মাখনের ছেলে।
উপ-কমিশনার বলেন, কুনিয়া পাছর এলাকার বাসিন্দা লতিফ সরকারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার। আর্থিক লেনদেন, কটূক্তিসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ির মালিক লতিফ সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সোহাগ।
এর জেরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহাগ ও তার কয়েকজন সহযোগী লতিফ সরকারের শিশুপুত্র তামজিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শিশুর বাবা গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের তেপাড়িয়া এলাকা থেকে আসামি সোহাগকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার প্রত্যন্ত চর থেকে শিশুটির বালিচাপা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়, সুদের টাকা ও বাড়ি ভাড়া দিতে দেরি হলে লতিফ সরকার তার বাবা ও পরিবারকে অপমান করে। এর প্রতিশোধ নিতে গত ১০ মার্চ ভিকটিম তামজিদকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে গাজীপুর চৌরাস্তা নিয়ে যান।
সেখান থেকে বাসযোগে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা গিয়ে বাসস্ট্যান্ড নামেন। পরে আসামির নিজবাড়ির উত্তর পাশে একটি নিচু জমির মধ্যে ভিকটিম তামজিদকে নিয়ে রাতে অবস্থান করে।
পরদিন ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার পশ্চিম পাশে জনতা ঘাটে যান। সেখান থেকে কোষা নৌকা দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে ভিকটিমকে নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন চরের মধ্যে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ভিকটিম তামজিদকে দুই হাত চেপে ধরে এবং অন্য হাতে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।