অনেকেরই ধারণা , রোদে করোনার ক্ষমতা কমে যায়, আর সংক্রমণ ছড়ায় না। এই ধারণা আদৌ ঠিক কিনা তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। এ ব্যাপারে ইংল্যান্ডের চিকিৎসকদের দাবি, রোদে বেশি সময় কাটালে করোনায় মৃত্যুর হার কমে। পরিসংখ্যান দিয়ে তারা দেখিয়েছেন, রোদে থাকা অতিবেগুনি রশ্মি ‘এ’ বা ‘ইউভি-এ’ রশ্মি যাদের গায়ে বেশি মাত্রায় পড়ে, তারা করোনা আক্রান্ত হলেও দ্রুত সামনে নিতে পারেন।
বিভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলের রোগীদের উপর গবেষণা চালিয়ে চিকিৎসকরা দেখিয়েছেন, একই ধরনের খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার পরেও শুধুমাত্র রোদে আলাদা সময় থাকা অনুযায়ী মানুষের শরীরে বদলে যাচ্ছে করোনার প্রভাব। তবে শুধু ‘ইউভি-এ’ নয়, ‘ইউভি-সি’ও একই কাজ করতে পারে। কিন্তু বাতাসের স্তর ভেদ করে ‘ইউভি-সি’ মাটির খুব কাছাকাছি পৌঁছতে পারে না। তাই ত্বকের মধ্যে দিয়ে সেটির শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ কম।
এখন অনেকে মনে করতে পারেন মাস্ক না পরে রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে কি করোনার ঝুঁকি কমবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা রোদে বেশি সময় কাটান, তাদের মধ্যে করোনার মৃত্যুর হার কম। তবে রোদ সংক্রমণের হার কমাতে পারে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি চিকিৎসকরা। বরং তারা বলছেন, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। না হলে আরও বাড়বে পারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।