বশির আলম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মহানগর বিএনপির এক নেতা কাউন্সিলর হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে নগরীতে চলছে আলোচনা। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে মেয়র পদে একজন, সাধারণ কাউন্সিলর
পদে ৩৬ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এখন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী আছেন আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ৭৭ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ২৩৯ জন। তিনি আরো জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একজন থাকায় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ
কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহমাদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ ওয়ার্ডে চারজন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় ওই ওয়ার্ডে ফয়সাল আহমাদ একমাত্র প্রার্থী। ফলে কাউন্সিলর পদে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র আরো জানায়, এখানে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীতা
প্রত্যাহারকারী ৩ প্রার্থী হলেন, ভোগড়া এলাকার মৃত হাজী মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো: সুবহান, একই এলাকার মোঃ মতিউর রহমানের ছেলে মো: লিটন হোসেন ও মোঃ হাবিবুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে মো: নাহিদ চৌধুরী। তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার ফলে সিটির গুরুত্বপূর্ণ ১৫ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ফয়সাল আহমেদ সরকার পুনরায় বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলেন। এবারের সিটি নির্বাচনে তিনিই একমাত্র সৌভাগ্যবান প্রার্থী, যিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। স্থানীয়রা জানান, মহানগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এটি মূলত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি গাজীপুর মহানগরীর অত্যন্ত ব্যস্ততম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত চান্দনা চৌরাস্তা ১৫ নং ওয়ার্ডেই পড়েছে। এ কারণে এই এলাকাটির রাজনৈতিক গুরুত্ব ও অপরিসীম।
এ ব্যাপারে ফয়সাল আহমাদ সরকার বলেন, ১৫নং ওয়ার্ডের সকল ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নির্বাচনে যারা আমার সঙ্গে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে নিয়ে পরামর্শ করে ১৫নং ওয়ার্ডকে একটি মাদকমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও স্মার্ট ওয়ার্ড গড়ে তোলবো ইনশাল্লাহ। এ কাজে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ সরকার
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকার শামসুদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক। তিনি বর্তমানেও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর। তিনি আলোচিত চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী রাকিব সরকারের বড় ভাই। ফয়সাল সরকারের ছোট ভাই মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান সরকার রাসেল সিটি
নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ফয়সাল সরকারের আরেক বড় ভাই সুলতান উদ্দিন সরকার গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক মালিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি। এদিকে, ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
রয়েছে। তারপরেও এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ সমর্থিত একজন কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলো না কেন? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।