মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া– সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জে দিনদিন বেড়েই চলেছে সহিংসতা। জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাইয়ের হাতে বোন খুন হওয়ার রেস কাটতে না কাটতে ২দিনের ব্যাবধানে এবার ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হয়েছে। মৃত ভাইয়ের নাম- নুরু মিয়া (৩৫)।
তিনি উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়াখালি গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার ছোট ছেলে। আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল সোমবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ৯টায় জামালগঞ্জের ধানুয়াখালি গ্রামে পৈত্তিক জায়গা-জমির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে নুরু মিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই তাজুল ইসলামের স্ত্রী ও মেয়ের কথা কাটাকাটি হয়।
ওই সময় বড় ভাই তাজুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে শাবল দিয়ে ছোট ভাই নুরু মিয়ার পেটে আঘাত করে। এঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নুরু মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পড়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে ছোট ভাই নুরু মিয়াকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এঘটনার আগে গত শনিবার (২৭ মে) দুপুরে একই উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে ঝগড়ার সময় আশিকুল মিয়া বটি দা দিয়ে তার চাচাতো বোন জেসমিন বেগম (৩৫) এর গলায় আঘাত করে।
ওই সময় জেসমিন বেগম জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। তখন প্রতিবেশীরা জেসমিনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাচা মাহমুদ আলীকে গ্রেফতার করে। আর তার ছেলে ঘাতক আশিকুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মৃত জেসমিন বেগম জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মীর মোহাম্মদ আব্দুর নাসের পৃথক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান-বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে পৃথক দুইটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।