হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক হেফাজত নেতা মামুনুলকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রবিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ। পরে তাকে নেয়া হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে। সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে। সেখান থেকেই সোমবার আদালতে তোলা হয় হেফাজতের এই নেতাকে।
২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে। মতিঝিল থানা, পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এসব মামলা হয়।
মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক।
৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ঘেরাও হওয়ার পর মামুনুল হকের একাধিক বিয়ের খবর বের হয়। একের পর এক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনায় আসেন তিনি।