এস, এম, উজ্জ্বলঃ আজ ১৪ জূন ভয়াবহ কালশি হতার দিন।২০১৪ সালে আজকের এই দিনে মিরপুর কুর্মিটোলা ক্যাম্পে শবেবরাতের ভোরবেলা একই পরিবারের নয়জনকে নৃশংসভাবে আগুনে পুড়িয়ে ও একজনকে পুলিশ গুলি
করে হত্যা করে। কলশী হত্যা কান্ড র নয় বছর পেরিয়ে গেল ও আজও কোন বিচার হয়নি হত্যাকারীদের। মানবতা বিরোধী হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মানব অধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সংবাদের ভিত্তিতে এটি প্রমাণিত হয় মিরপুর কালশী হত্যাকাণ্ড শুধু নিছুক হত্যাকাণ্ডই নয় একটি পরিকল্পিত গন হত্যা।
এই হত্যাকাণ্ডের নয় বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন আজও দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিন্দার ঝড় বইছে।
মিরপুরের বিহারী সম্প্রদায় তথা অবাঙালি জনগোষ্ঠীর কলোনিতে আগুন দিয়ে পরিকল্পিত দশজনকে পুড়িয়ে হত্যা করে একই পরিবারের। এই হত্যাকান্ডে দুইজন শিশু সন্তানও ছিল বলে জানা গেছে।
কি ভয়ানক বর্বরতা চালিয়েছেল সন্ত্রাসীরা। একটি পরিবারে ঝগড়া বিবাদ থাকতে পারে তাই বলে সেইদিন ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে তালা দিয়ে আটকে রেখে পরিকল্পিতভাবে দশজনকে পুড়িয়ে মারা হলো এটা চরম মানবতা বিরোধী।
কি কারনে হত্যাকারীরা এত শক্তি সাহস পেল কারা মদদ দিয়েছিল। নয় বছর পেরিয়ে গেলেও কালশি হত্যাকান্ডের বিচার তো দূরের কথা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হ্য়নি সেই প্রশ্নটাও যেমন যুক্তিযুক্ত তেমনি বিহারী ক্যাম্পের এই
হত্যাকান্ড আমাদের উপর ঊগ্ৰমানসিকতার শুধু প্রকাশ পায়নি রীতিমতো দানবীয় চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।নিঃসন্দেহে এই হত্যাকাণ্ড জাতির জন্য রাষ্ট্রের জন্য কলংকজনক।
বিহারীদের পরিকল্পিতভাবে নির্মূল্ ও ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। দোষী ব্যক্তিরা যত প্রভাবশালী হোক না কেনো তারা আইনের উর্ধ্বে নয়। আজ হোক কাল হোক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার
জন্য নিহত পরিবারের আকুল আবেদন সরকার ও রাষ্ট্রের কাছে। মিরপুরবাসী তথা বিহারী ক্যাম্পের স্থানীয়রা মনে করেন কালশি হত্যার বিচার সময় মত না হয় তাহলে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদবে এবং আরো ভয়াবহ অপরাধ বাংলা জমিনে সংগঠিত হবে ।