বশির আলম, শিল্প নগরী টঙ্গীর পাগার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টঙ্গী পূর্ব থানা যুব মহিলা লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইয়াসমিন আক্তারকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে মহানগর ছাত্রদলের
সাবেক সহ সভাপতি সম্রাট শাহ ও তার ভাই সাগেরর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে পাগাড় ফকির মার্কেট এলাকায় এঘটনা ঘটে। এঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী নেত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সম্রাট শাহ (৩৬) তার ছোট ভাই সাগর (২৬) ও তার চাচা খোকন (৪৫)। তারা সকলে পাগাড় এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে পাগাড় ফকির মার্কেট এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিলেন ইয়াসমিন আক্তার। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত সাগর ও তার বাবার সাথে বাকেবিতন্ডা হয়
তার। একপর্যায়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা সম্রাট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইয়াসমিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। এসময় সম্রাটের ছোট ভাই ও তার চাচা সম্রাটের সাথে যোগ দিয়ে ইয়াসমিনকে মারধর করে গুরুতর আহত
করেন এবং তার স্বর্নালঙ্কার ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় জানান সম্রাট বর্তমান নবনির্বাচিত কাউন্সিলর খালেদুর রহমান রাসেলের একনিষ্ঠ কর্মী সে এলাকায় জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে, এলাকায় তার বিশাল ক্যাডার বাহিনী রয়েছে।
এ বিষয়ে সম্রাট সাহা বলেন ওই নারীর সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত আমার ছোট ভাইয়ের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। এই মহিলার খুবই খারাপ সে, ইতিপূর্বে অনেকের সংসার নষ্ট করেছে, আমি কাউন্সিলর খালেদ রাসেলের লোক এলাকায় গার্মেন্টস এর ব্যবসা করে থাকি।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ পরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।