সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত ভারতীয় মালামাল যাত্রীবাহী বাসে বোঝাই করে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় অভিযান চালিয়ে ১লাখ ৩৮হাজার টাকার অবৈধ মালসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
কিন্তু তাহিরপুর সীমান্তে একাধিক মামলার আসামীরা দাপটে সাথে, লাখলাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, সুপারী, গরু, কাঠ, গাছ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল ওপেন পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না বলে খবর পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনে মতো গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্ভর) রাত ১১টা থেকে আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের পুলিশ ফাঁড়ির পিছন দিয়ে ভারত থেকে প্রায়
৩০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে, বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন নিলাদ্রীর তীরে অবস্থিত অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে মজুত করে চোরাকারবারী মোক্তার মহলদার,রফিকুল ইসলাম,আক্কাছ মিয়া,ফিরোজ মিয়া,শহিদুল মিয়া ও ভোট্টো মিয়াগং।
একই ভাবে এই সীমান্তের বড়ছড়া,বরুঙ্গছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে শতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করাসহ বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকার পাকা সড়কের পাশে পৃথক ভাবে ৭টি ইঞ্জিনের
নৌকা বোঝাই দেড়শ মেঃটন কয়লা ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর করে নিয়ে যায় সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ইয়াবা কালাম,রতন মহলদার,কামরুল মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া ও নেকবর আলী।
এছাড়াও চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া,রাজাই,কড়ইগড়া,বারেকটিলা,লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী,সাহিদাবাদ,শাহ-আরেফিন মোকাম,পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে কয়লা,পাথর,বিড়ি,মদ,গাঁজা,ইয়াবা, গরু ও কসমেটিকসসহ বিভিন্ন
মালামাল পাচাঁর করেছে স্থানীয় চোরাকারবারীরা। কিন্তু অবৈধ মালামালসহ কাউকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাত সাড়ে ১২টায় তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়গড় গ্রামের মৃত রাজ আমিনের ছেলে
জাহাঙ্গীর আলম(৪৫),একই গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে নজির হোসেন(২৭) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষনশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত তজমিল আলীর ছেলে ফরহাদ আলম(২৫)কে ভারতীয় মালামালসহ
গ্রেফতার করেছে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ। এছাড়া গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ভর) রাতে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা,জঙ্গলবাড়ি,কলাগাঁও,এলসি পয়েন্ট,বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী রফ
মিয়া,আইনাল মিয়া,সাইফুল মিয়া,লেংড়া জামাল,হযরত আলী,সুহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু,খোকন মিয়া ও রুবেল মিয়াগং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা,চুনাপাথর,চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন মালামাল পাচাঁর
করে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা নিয়ে গেলেও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান- সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আল-শামীম পরিবহণে তল্লাশী করে ১৭বস্তা ফুসকা, হরলিক্স ও কোল্ড ড্রিংকস জব্দ করাসহ ৩ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।