ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ বারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মোশাররফ মোল্লার অত্যাচারে এলাকা ছাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ রাশেদ খান।একই বলয়ে রাজনীতি করলেও,নিজ সন্তানের চিকিৎসার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশাররফ মোল্লা।
চাঁদার টাকা না দেওয়ায় একের পর এক হামলা ও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।গত ১২/৬/২৩ দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকায় চাঁদার দাবিতে মোঃ মোশারফ মোল্লার নেতৃত্বে রাশেদ খানের বাড়ির নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন একদল সন্ত্রাসী।
এ সময় রাশেদ খান বাড়িতে না থাকায় হামলা হতে রক্ষা পেলেও তার স্ত্রী কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। রাশেদ খান পেশায় দলিল লিখক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে জেলা সাব-রেজিস্টি অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছেন উক্ত চক্রটি।আওয়ামী নেতার সহযোগী একই ইউপির বাসিন্দা আশুলিয়া সাব-রেজিস্টি অফিসের দলিল
লিখক পলাশ সরদার, রানা সহ একটি সংবদ্ধ চক্র।উক্ত চক্র বারুয়াখালী ইউনিয়ন বড় কাউনিয়া কান্দি মৌজার আরএস খতিয়ান -৫ আরএস ৪২৩ ও ৪২৪ দাগের অর্পিত সম্পত্তি দিলীপ কুমার সরকার তার পিতা নারায়ণ চন্দ্র শীল মৃত অমৃত লাল সাহা হতে ক্রয় করেছেন মর্মে একটি ভূয়া ভ্রম সংশোধন দলিল সৃজন করেন যার নং -৬৩৬১তারিখ ৩১/১২/৯৬।
উক্ত বির্তকিত দলিল বলে দলিল লিখক পলাশ সরদার ও রানা ইসলাম নিজ নামে বায়না করেন।নামজারী জাম ভাগ কেস নং-২৪৫৯(1x) ১৪/৯/১২ এর মাধ্যমে ৪৩৭ নং খতিয়ান সৃজন পূর্বক স্হানীয় পারুল বেগমের নিকট কতক অংশ ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বিক্রির নিমিত্তে ১.৭০০০০ টাকা বায়না গ্রহন পূর্বক রাশেদ খান কে দলিল রেজিস্টি করতে
বললে রাশেদ তাতে রাজি না হওয়ায় ১৮/৭/২৩ তারিখ ছোট কাউনিয়া স্টান্ডে হামলা চালিয়ে আহত করেেন।পর দিন ১৯/৭/২৩ তাদের প্রতারনার বিষয় টি লিখিত ভাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি)নবাবগঞ্জ অবহিত করলে প্রায় কোটি টাকা বেআইনি আয় হতে বঞ্চিত হন চক্রের সদস্যরা।
এতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগ নেতা রাশেদ খান কে বাড়ি হতে ধরে বারুয়াখালী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান অতঃপর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে প্রতারনা মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেন।দীর্ঘ দিন হাজত বাস শেষে বাড়িতে ফিরে এলেও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদান করলে তাকে পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে।রাশেদের
পিতা মোঃ সুলতান খান ২০১৩ সালে মধুসুদন সরকার মন্ডল হতে ক্রয় সুত্রে ১২ শতক জমির মালিকানা অর্জন করেন উক্ত দলিলে সাক্ষী হন দলিল লেখক পলাশ সরদার এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রাণ গোবিন্দ হালদার।।আরএস রেকর্ডীয় মালিক মধুসূদন মন্ডল সরকার বিগত ৭/০২/১৯৭০ তারিখ ১৬৯৬ নং দলিল মূলে মোঃ ইউনুস খান ও মোঃ হাফিজ
উদ্দিনের নিকট বিক্রয় করন।হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ বাদশা মিয়া ও কন্যা হুসনে আক্তার মালিকানা অর্জন পূর্বক সম্পত্তি দেখভালের জন্য বিগত ১/৬/১০ তারিখ স্বপন হালদার সরকার কে আম- মোক্তার নিযুক্ত করে ২৯/৫/১৩ তারিখ ৩৯৫২ নং দলিল মূলে মোঃ সুলতান খানের নিকট বিক্রয় করেন।
অন্য দিকে মধুসূদন মন্ডলের ছেলে পাচু গোপাল মন্ডল ঢাকা জেলা সহকারী জজ আদালত একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ১৫৬।আদালত মামলা চলমান থাকলেও পেশি শক্তির জোরে তার বাড়ি ও টিনের দুটি ঘর ভেকু দিয়ে ঘুরিয়ে দেন উক্ত দস্যু চক্র।এখানে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হন রাশেদ খান।
এখানেই শেষ নয় তার দলিল লিখার সনদ বাতিল করতে মিথ্যা অভিযোগ এনে নবাবগঞ্জ সাব-অফিসে রেজিস্টিতে কম মূল্য দেখিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার অভিযোগ আনেন অথচো কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়,বাড়িল্লা মৌজা-৩৩৭ নং খতিয়ানে আর এস ৪৬ নং দাগের ৭.৫০ শতক নাল জমি সরকারি রেট অনুযায়ী ১.৭০০০০ হাজার টাকা মূল্যে
রেজিষ্ট্রেশন করা হয়। জমি ক্রয়ের দীর্ঘ সময় পর ক্রেতা বিপ্লব মন্ডলের পক্ষে তার ভগ্নিপতি শম্ভু বৈরাগী দলিলে ১৫ লক্ষ টাকা লিখার কথা ছিল বলে নবাবগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করেন এবং ১৫০০০০ লক্ষ টাকা লিখা একটি জাল দলিল সরবাহের কথা উল্লেখ করেন, জানা যায় সার্টিফাইড কপির ফটোকপি তে মূল্য বসিয়ে তারা মিথ্যা
অভিযোগ আনয়ন করেন উক্ত বিষয় টি ভূয়া প্রমান হওয়ার ভয়ে একই দাগের ৭.৫০ শতক ভূমি বিক্রয় মূল্য সরকারি রশিদ ১.৬৭০০০ থাকলেও তারা ৮ লক্ষ দেখান।উপায়ন্তর না পেয়ে যুবলীগ নেতা রাশেদ খান বারুয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ মোশাররফ মোল্লা সহ ৬ জনকে আসামী করে সিএমএম কোর্টে একটি মামলা দায়ের
করেন।ঢাকা জেলার সিআর মামলা নং-৩৪১/২৩।এ ব্যপারে বারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও নবাবগঞ্জ সাবরেজিস্টার অফিসের দলিল লিখক মোঃ রাশেদ খান বলেন,আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি করেও ভূমিদস্যু চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি ও আমার পরিবার চরম আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি।ভূমিদস্যু চক্র আমাকে খুন জখন করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
