মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর ব্যুরো:শেরপুরে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকেরা দেশি সরিষা ও হাইব্রিড বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করে লাভবান কৃষকের মূখে হাসি।সরিষার চাষের ব্যাপারে (১৩ ফেব্রুয়ারি)মঙ্গলবার শেরপুর সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্ৰামের কৃষক মোঃ আয়নাল
হক বলেছেন আমন ধান চাষ না করে আমি আমার ০,৪০ শতাংশ জমিতে সরিষার আবাদ করি,আমার সরিষা চাষে সর্বমোট খরচ হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৫ শত টাকা,আমি আমার জমিতে সরিষা পাইমু প্রায় ১০ মণের
অধিক,সরিষা বাজারে বিক্রি করে দাম পাব আশাকরি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো এতে আমি সরিষা চাষ করে লাভবান হয়েছি। একই উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া কৃষক মোঃ আক্তারুজ্জামান
জানান আমার ০,৩০ শতাংশ জমিতে সরিষার চাষ করেছি,জমিতে সরিষা চাষের সর্বমোট খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকার মতো,জমিতে সরিষা হবে ১০ মণের অধিক,সরিষা বাজারে বিক্রি করে দাম পামু প্রায় ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকা,এতে সরিষার আবাদ করে লাভবান হয়েছি আমি।
সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মোকছেদপুর গ্ৰামের মোঃ গিয়াস মাষ্টারের ছেলে কৃষক মোঃ আলম মিয়া বলেন আমি আমার ১,২২ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড বারি-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছি, কিন্তু আমার
জমিতে সরিষার আবাদ করতে সর্বমোট -২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে, জমিতে প্রায় সরিষা পাইবো ২৫ মণ,বাজারে ভালো দামে বিক্রি করলে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা মতো পাবো বলে আশা করি এবার আল্লাহ
তায়ালার রহমতে আমার সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে তাই আমি লাভবান।সরিষার বাম্পার ফলনের লাভবান কৃষকের ব্যাপারে শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(উদ্ভিদ সংরক্ষণ) হুমায়ুন
কবীর বলেন,আমরা অফিসিয়াল ভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি কৃষকদের।এবার শেরপুর জেলায় আনুমানিক প্রায় ৪৭ হাজার ৫ শত কৃষক পরিবার রয়েছে,অন্যান্য বছরের তুলনায় জেলায় এবার সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ হাজার ১৮২ হেক্টর,আর অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৫৬১ হেক্টর জমি,গত বছরের চেয়ে এবছরের সরিষার চাষে