শুক্রবার, জুন ২৮, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধশেরপুর জেলায় বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৮ চাঁদাবাজকে আটক

শেরপুর জেলায় বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৮ চাঁদাবাজকে আটক

মোঃ দুদু মল্লিক শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক,সিএনজি,       অটোরিক্সা থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের দায়ে ৮ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র‌্যাব জামালপুর।

এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা সহ ৯ টি মোবাইল,চাঁদাবাজির টাকা হিসাব নিকাশের ২ টি টালি খাতা এবং বিপুল পরিমান চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করা হয়। আটককৃতরা হলেন,পূর্ব নবীনগর এলাকার

মজিবুর রহমানের ছেলে মো.মোশারফ হোসেন (৩৮),দক্ষিণ নবীনগর এলাকার -মো. আঃ সাত্তারের ছেলে মো.আল আমিন (৩৭),উত্তর নবীনগর এলাকার মো.আজিজুল হকের ছেলে মো. আতিকুর হক (৩৯),তারাকান্দি এলাকার মৃত তমির হাজীর ছেলে

মো.তারা মিয়া (৪০),নবীনগর এলাকার মো.আমিনুল হকের ছেলে মো.আল আমীন সরকার (৩৮),দক্ষিণ নবীনগর এলাকার মৃত আফছার আলীর ছেলে মো. মানিক মিয়া (৫৫),বয়রা পরানপুর এলাকার মৃত নূর

ইসলামের ছেলে মো.সাদ্দাম হোসেন (৩১) এবং চক পাঠক এলাকার মো. আজাহার আলীর ছেলে মো. আতাউর কবির উরফে এনামুল (৩৮)কে র‌্যাব-১৪,জামালপুর এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির সুত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পণ্যবাহী পরিবহনে চাঁদাবাজির

বিষয়টি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় দেশব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। উক্ত জনদূর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী জামালপুর ও শেরপুর জেলা সহ সারাদেশে

র‌্যাবের বিভিন্ন ইউনিটের গোয়েন্দা দল তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন স্থানের চাঁদাবাজির তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য মাঠে কাজ শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উৎপাদনকারীদের

নিকট হতে পন্য সামগ্রী সংগ্রহ পূর্বক ট্রাক/পণ্যবাহী যানবাহনে পাইকারী ও খুচরা বাজারে পৌছানোর সময়

বিভিন্ন সড়কে- নামে-বে-নামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহের নির্দেশে র‌্যাব-১৪,জামালপুরের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো.আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে শেরপুর জেলার সদর থানার

সিএনজি ষ্ট্যান্ড গুলোতে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ পণ্যবাহী গাড়ি/সিএনজি/অটোরিক্সাতে চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় ৮ সদস্যকে আটক করা হয়।আটককৃতদেরকে র‌্যাব প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চাঁদাবাজির সাথে

তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সত্যতা পান। তারা শেরপুর জেলার সদর থানার এমএস সামাদ সিএনজি ষ্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারি সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি/সিএনজি/অটোরিক্সাতে

চাঁদাবাজি করে। আটককৃতরা কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদিন রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে পণ্যবাহী যানবাহন শেরপুর হতে নকলা ও নালিতাবাড়ী প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট,লাঠি ও

বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের নিকট অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও প্রদান করেন। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের গাড়ি

ভাংচুর,ড্রাইভার-হেলপারকে মারধর সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে থাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখান।পণ্যবাহী কোন গাড়ি দেখলেই তারা লেজার লাইটের আলো নিক্ষেপ করে তা থামিয়ে কৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা

আদায় করে থাকে। উক্ত চক্রটি প্রতিরাতে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ