সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের বহুল আলোচিত টেকেরঘাট সীমান্তে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুনাপাথর পাচাঁরের খবর পাওয়া গেছে। এই সীমান্ত দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর পাচাঁর করতে গিয়ে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে ও
চোরাই কয়লার গর্তে পড়ে এপর্যন্ত অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও চিহ্নিত চোরাকারবারী ও তাদের গডফাদারকে গ্রেফতারের জন্য আজ পর্যন্ত আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই সেনা বাহিনীর
সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো গতকাল রবিবার (২৫ আগষ্ট)
রাত সাড়ে ১২টার থেকে আজ সোমবার (২৬ আগষ্ট) ভোর পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট
সীমান্তের রজনী লাইন, বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া ও নীলাদ্রী লেকপাড় এলাকা দিয়ে সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারী আমীর আলী, রফিকুল, নজরুল, মহিবুর, সাইদুল, রুবেল মিয়া, কামাল মিয়া, মিলন মিয়া, আক্কাছ মিয়া,
মকবুল মিয়া, রহিছ মিয়া, শুবরত দাস ও আক্কল আলীগং ভারত থেকে প্রায় ১২শ মেঃটন চুনাপাথর পাচাঁর করে শতাধিক হ্যান্ড ট্রলি বোঝাই করে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ও জয়বাংলা বাজারের পাশে অবস্থিত
একাধিক ডিপুতে নিয়ে মজুত করে। কিন্তু বিজিবির পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া খবর পাওয়া
যায়নি। তবে টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের বর্তমান কোম্পানী কমান্ডার ওবায়দুর রহমান যোগদানের পর থেকে
এই সীমান্তে চোরাচালান বেড়েগেছে এবং সীমান্তের লাকমা এলাকায় বিজিবির ওপর চোরাকারবারীরা হামলা করে ৫ জনকে আহত হয়েছে। এছাড়া সারাদিন খুচরা ভাবে পাচাঁরকৃত প্রতি বস্তা চোরাই কয়লা (৫০ কেজি) থেকে
৫০ টাকা ও পাচাঁরকৃত প্রতি ট্রলি (দেড় টন) চুনাপাথর থেকে বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে সীমান্ত গডফাদার তোতলা ও তার সোর্স রহিছ মিয়া, আমীর আলী, কামাল মিয়া, আক্কল আলী, শুবরত দাস ১হাজার
টাকা চাঁদা উত্তোলন করে বলে খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে তাহিরপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম বলেন- রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চুনাপাথর পাচাঁরের খবর পাওয়ার পর রাতেই টেকেরঘাট
কোম্পানি কামান্ডারকে বারবার জানানোর পরও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি এবং এই ক্যাম্পে ভিআইপির দায়িত্বে থাকা (সিও‘র সদস্য) মমিন এর সরকারী মোবাইলে (০১৭৬৯-৬১৭৩৫৪) বারবার কল করার পরও
রিসিভ করেনি। টেকেরঘাট কোম্পানী কমান্ডার (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) ওবায়দুর রহমান বলেন- চোরাচালানের বিয়য়ে আপনি সি ও (অধিনায়ক) স্যারের সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের
বিজিবি অধিনায়কের (সি ও) সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯- ৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।