মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর,শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার চৈতাজানি (চেঙ্গুরিয়া) গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফুল ইসলাম প্রথমে পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান।
পরবর্তীতে এএসআই পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোখলেছুর রহমান পান্নার গানম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। যাহার বিপি নং- 8000016712। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সান্নিধ্য ও পুলিশ
সদর দপ্তরে চাকুরীর সুবাদে তিনি রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন এ ব্যপারে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকে দেখে নেওয়ার হুমকি। জানা গেছে,পুলিশ সদর দপ্তরে চাকুরীর সুবাদে অল্প সময়ে তিনি তার নিজ গ্রামে, পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ জেলা ও উপজেলা শহরে তার ক্রয়কৃত জমির মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
শেরপুর পৌর শহরে গৌরীপুর এলাকায় তার রয়েছে পাঁচতলা বিশিষ্ট সুরম্য বাড়ী।যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। পৌর সভার পূর্বানুমতি ছাড়া,পৌরকোড অমান্য করে এবং প্রতিবেশীদের দূর্ভোগের মধ্যে
ফেলে পৌরসভার নিষেধ সত্বেও তিনি ভবনটি নির্মান করেন। শেরপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ হেফজুল বারী খান ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন
শরিফুলের বিরুদ্ধে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি দুদক তদন্ত না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সদর দপ্তর অভিযোগটি তদন্তের জন্যে পুলিশ
সুপার শেরপুর বরাবরে সোপর্দ করে। তৎকালীন শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম অভিযোগটি তদন্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তের শুরু থেকেই রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন। বিষয়টি
অভিযোগকারী ডাঃ হেফজুল বারী খান তৎকালীন পুলিশ সুপার কাজী মো. আশরাফুল আজিমকে একাধিকবার জানালেও অদৃশ্য কারণে সুষ্ট তদন্ত নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। বরঞ্চ পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলামকে
সম্পূর্ণ দায়মুক্তি দিয়ে একটি অসত্য তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরণ করে। অভিযোগকারী একজন সমাজ সচেতন ও দায়িত্বশীল মানুষ। এহেন অসত্য তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তিনি পূণরায় ২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বরাবরে পূনঃতদন্ত চেয়ে আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এতেও তিনি কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে শেরপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে দূর্নীতি দমন আইনের সূনির্দিষ্ট ধারায় গত ২০২৩ সালের ৮মে শরিফুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে
নিয়ে উপ-পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত কার্যালয় জামালপুরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।অনুসন্ধানে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশন জামালপুর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সেখান থেকেও কোন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়নি।
অভিযোগকারি বলছে, যেখানে দূদকের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দু’মাসেই আদালতে দাখিল করে। সেখানে জামালপুর দূদক শাখা পুলিশ সদস্য শরিফুলের সম্পদের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন গেলো এক বছরেও আদালতে দাখিল করতে পারেনি।
বিষয়টি রহস্যজনক।মামলার বাদী বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে যেকোনো সময় তার অবৈধ সম্পদ বিক্রি করে সীমান্ত অতিক্রম করে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
দূদক জামালপুরের তখন কি করার থাকবে? ইতিমধ্যে জনমনে একটি ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, একজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরেও তিনি কি করে পুলিশ সদর দপ্তরে বছরের পর বছর কর্মরত থাকতে পারে ? তাহলে দুদক কি শরিফুলের ব্যাপারে ছাড় দিয়ে তদন্ত করছে ? বিষয়টি নিয়ে দুদকের মাননীয় চেয়ারম্যান সহ উর্ধ্বতন কমকর্তাদের দৃষ্টি আকষণ করছি।