মো:রিপন মিয়া নেত্রকোনা: কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগ বতর্মান সভাপতি সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আজাদ মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় একের পর এক খাস জমি দখলের নেশায় মেতে ওঠেন।
দখলের পর সেগুলো বিক্রিও করেন। বাদ যায়নি শ্মশানঘাট, এমনকি বিদ্যালয়ের জমিও। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকানার জমি দখল করে বিক্রির অভিযোগও আছে। তিনি কলমাকান্দা
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আজাদ ওরফে ফৌজদার, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানায়, আনোয়ার হোসেন আজাদ ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর আচরণ পাল্টে যায়।
সাবেক সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি সরকারি খাস জমি দখল করা শুরু করেন। মাঠ জরিপের সময় তিনি এসব ভূমির বিপরীতে নিজের নামে কিছু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন।
ইতিমধ্যে ৬৭৩ শতাংশ খাস ও ২৭ শতাংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি দখল করেছেন। বিক্রি করেছেন ৬৪৬ শতাংশ। যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আনোয়ার হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কলমাকান্দা উপজেলা সদরে খাস খতিয়ানের ৪৯ নম্বর দাগের নয়াপাড়া গ্রামের শ্মশানঘাটের ৪০ শতাংশ ভূমি দখল করেন।
শ্মশানঘাটের ওই জমি কিছু দিন আগে স্থানীয় চন্দন সরকার, তাহের মিয়া, শিল্পী আক্তার, জমিরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, ও লিয়াকত আলীর কাছে বিক্রি করেন। কলমাকান্দা বাজারের মুক্তির চরে দেড় একর খাস ভূমি দখল করেন।
ক্রাইম অনুসন্ধান.বিস্তারিত থাকছে দ্বিতীয় পর্বে।