সাগর, নদী, পাহাড় আর সবুজের মিশেলে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান পর্তুগাল। ইউরোপের এ দেশে মে মাস থেকে পর্যটনের দরজা খুলছে। পর্তুগালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্টেট সেক্রেটারি রিতা মার্কেস বলেন, মে মাস থেকে যারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন তারা পর্তুগালে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এতে পর্তুগাল স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। পর্তুগালের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এখানে বসবাসরত পর্যটন খাতে জড়িত ৯৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশির মুখেও আবার হাসি ফিরবে।
আগামী ১৭ মার্চ ইউরোপিয়ান কমিশন করোনা ডিজিটাল ফ্রি পাস তৈরির জন্য একটি আইনি প্রস্তাব উপস্থাপন করতে যাচ্ছে। যাতে টিকা গ্রহণকারী ও যারা করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন এবং ভ্রমণের আগে করোনা যাদের নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে, তাদের ভ্রমণে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। এই প্রস্তাব অনুমোদন হলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভ্রমণে কোনো ধরনের সমস্যা থাকবে না এবং সবার জন্যই তা নিরাপদ হবে।
পর্যটন মৌসুমে এমনকি বছরব্যাপী বিপুল সংখ্যক ব্রিটিশ পর্যটক পর্তুগাল ভ্রমণে আসেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালে মোট পর্যটক এর প্রায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে এসেছেন। তবে মহামারির কারণে গত বছরের তুলনায় ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ কম। তাছাড়া পর্তুগালের আলগার্ভ নগরীতে যুক্তরাজ্যের অনেক নাগরিকের বসবাস। অপরদিকে অবকাশযাপনের জন্য সেকেন্ড হোম হিসেবে তাদের বাসস্থান রয়েছে দেশটিতে।