গাজীপুর মহানরগীর টঙ্গী, গাছা ও পূবাইল এলাকায় কিশোর অপরাধ ও বখাটেদের উৎপাত রোধে ব্যতিক্রমী উদ্দ্যোগ নিয়েছেন পুলিশ। প্রতিটি রাস্তার মোড়ে, স্কুল গেটে, পাড়া-মহল্লায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরি, নারীদের উত্ত্যক্তসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা।
তারা বিভিন্ন স্টাইলে চুলের কাটিং করে সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের আটক করে এবং তাদের পরিবারের সাথে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।জান যায়,
টঙ্গীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের উৎপাত বেড়েই চলছে। উঠতি বয়সি এসব কিশোররা দিনের পর দিন নানাবিদ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক, চুরি, ছিনতাই, সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপ দাবী করে নিজেদের
মধ্যে তর্কে জড়িয়ে খুনের মতো ঘটনায় ঘটাচ্ছে। স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা তাদের ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে। এর ফলে এলাকায় বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ, ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা।
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিনিয়ত টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম, গাছা ও পূবাইল এর বিভিন্ন এলাকা থেকে কিশোর দ্বন্দ্ব ছিনতাইকারী হামলায় আহত রোগীদের আত্মনাত প্রতিদিনই দেখা যায়।
সম্প্রতি সময়ে বেশ কয়েকটি খুনসহ বিভিন্ন অপরাধে সংঘটিত হওয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এসব কিশোরদের অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রতিটি এলাকায় বিট পুলিশ অফিসারদের মাধ্যমে বিভিন্ন স্টাইলে চুলের কাটিং, ছেঁড়া প্যান্ট, সন্ধ্যার পরে বিশেষ কোন স্থানে আড্ডায় সংঘবদ্ধ এসব কিশোরদের ধরে সেলুনে নিয়ে চুল কেটে পরিবারকে খবর দেন এবং কাউন্সিলিং করেন।
এভাবে অর্ধশতাধিক কিশোরকে নিয়ে তার পরিবারের সাথে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে আইনগত বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য প্রাথমিক ভাবে করাকড়ি শতর্কবার্তা দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে গাছা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কিশোর গ্যাং ও বখাটেদের উৎপাত রোধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আমরা অনেক কিশোরকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে বখাটে স্টাইল চুলের কাটিং পরিবর্তনসহ পরিবারের সাথে কথা বলে অপরাধ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এ অভিযানটি ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে বলে জানান।