গাজীপুরের টঙ্গীতে ডিআইটি প্রকল্পের বেশির ভাগ শিল্প প্লটগুলো দীর্ঘদিন যাবত শিল্পকলকারখানা নির্মাণ না করার কারণে ভাঁসমান অস্থায়ী হতদরিদ্র পরিবারগুলোর বাসাবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
১৯৬২ সালে ডিআইটি কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি অধিগ্রহণ করলেও আজ পর্যন্ত কিছু সম্পত্তি অধিগ্রহণের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করেনি।
এ নিয়ে অধিগ্রহণের বিপক্ষে আইনীগতভাবে আদালতে অনেকের মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের মেঘা প্রকল্প পিপিই এর আওতায় ইস্পাত প্রকৌশল কর্পোরেশন ডিআইটি শিল্প প্লটে ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লি: কোম্পানী কর্তৃক রাসায়নিক গোডাউন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে।
প্রকল্পের আওতায় ৬ একর ভূমি প্রকল্পের আওতাধীন। উক্ত ভূমিতে দীর্ঘদিন যাবত গরিব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারগুলো বসবাস করে আসছিলেন। এমনকি কিছু পরিবার রয়েছে যাদের পূর্ব পৈত্রিক সম্পত্তি।
এমনি পরিবারের মধ্যে আসকর আলীগংরা মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের আপিল ডিভিশনের পিটিশন মোকদ্দমা রিট করেন। যাহা মহামান্ন সুপীম কোর্টের আপিল ডিভিশনের বিচারাধীন ও শুনানীর জন্য অপেক্ষমান।
যাহার আইনগত নোটিশ প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থাসহ সকল প্রশাসনিক দপ্তরে অবগত রয়েছে। আইনগত বিজ্ঞপ্তিকে উপেক্ষা করে গতকাল রোববার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়াসিউল জামান চৌধুরী, ভূমি এসিল্যান্ট টঙ্গী জোনের রাজস্ব শাখার সাব্বির আহম্মেদ, গাজীপুর সদর ভূমি এসিল্যান্ট তানিয়া তাবাস্সুম এর নেতৃত্বে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ
বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ইলতুৎ মিশ, টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহ আলমসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের শতাধিক পুলিশ, ব্যাটালিয়ান সদস্যদের সহযোগিতায় দুইটি বুলডোজার দিয়ে প্রায় ৩শতাধিক বাসা-বাড়ি ভেঙ্গে তছনছ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় পরিবারগুলো তাদের সহায়সম্বল হারিয়ে বুকফাটা কান্না নিয়ে দ্বিকবিদ্বিক ছুটাছুটি করে। তাদের মধ্যে একটি পরিবার নিলুফা ইয়াসমিন প্রতিবেদককে জানান, আমার ঘরে থাকা আসবাবপত্র সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। আমি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।
অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প আওতার বাহিরে বাউন্ডারী ওয়ালের কিছুসংখ্যক বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। উচ্ছেদ চলাকালীন তাদের আহাজারীতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রহমান জানান, ইতিপূর্বে কিছু ঘর উচ্ছেদ করেছে তাদের ঘর প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রকল্প সংস্থা দিয়েছিল। কিন্তু আমাদেরকে কোন ধরনের সহযোগিতা না করে এভাবে উচ্ছেদ করাতে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।
আমাদের মাথা গুজার ঠাই নাই। অপরদিকে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে দেয়া ভূমি এসিল্যান্ট টঙ্গী জোনের রাজস্ব শাখার সাব্বির আহম্মেদ জানান, এই প্রকল্পের ৬ একর সম্পত্তি দখলমুক্ত করা হলো।