শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বালিজুরি এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে গরুর খোয়ার ইজারা প্রদান করা হলেও দখল পাচ্ছেনা ইজারাদার হাসেন আলী।
ইজারাদার হাসেন আলী জানান, বাংলা ১৪২৮ সালের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত রাণীশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খোয়ার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বালিজুরি গরুর খোয়ার ইজারা নেওয়ার জন্য গত ১০/০৪/২০২১ ইং তারিখে ওই গ্রামের হাসেন আলী, সবুজ মিয়া ও ইয়ানুস আলী ইজারা বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য ডাকে অংশ নেয়।
ওই তিন জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে হাসেন আলীর নামে খোয়ারটি ইজারা প্রদান করা হয়। যার প্রেক্ষিতে গত১৪/০৪/২০২১ ইং তারিখে রাণীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব স্বাক্ষরিত সর্বোচ্চ ডাককারী হাসেন আলীর নামে ইজারা প্রদানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করা হয়।
কিন্তু গত বছরের ইজারাদার আব্বাস আলী খোয়ারটির দখল না ছাড়ায় হাসেন আলী গত ২ মাসেও খোয়ারের টোল ফি (ইজারা) আদায় করতে পারছেনা। এতে হাসেন আলী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে হাসেন আলী, রাণীশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সাথে বার বার যোগাযোগ করে আসছে। এতে কোন সুরাহা হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে রাণীশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানার সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে প্রাক্তন খোয়ার ইজারাদার আব্বাস আলী জানান, আমি দীর্ঘ ৭ বছর যাবত বালিজুরি গরুর খোয়ারটি
ইজারা নিয়ে পরিচালনা করে আসছি। এবারও চেয়ারম্যান আমার কাছে ইজারা ডাকের টাকা নিয়েছে। ফলে আমি ওই গরু খোয়ারের দায়িত্বে রয়েছি। হাসেন আলী এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি কামনা করছেন।