(১৩ জুন) নিজ ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি প্রথম জানান। এর দুই ঘণ্টা পর বনানীর নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন পরীমনি।
রোববার (১৩ জুন) রাতে নিজ বাসায় পরীমনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত বুধবার (৯ জুন) রাতে পূর্বপরিচিত অমির সঙ্গে উত্তরার বোট ক্লাবে যান তিনি
সেখানে গিয়ে দেখেন নাসিরুদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় করিয়ে দেন অমি। টেবিলে দুটি মদের বোতল ছিল।
পরীকে মদপানের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করেন তিনি। পরে তাকে কফি খাইতে দেওয়া হয়। তবে, কফির স্বাদ স্বাভাবিক ছিল না। তাই তিনি কফি পান করেননি। এমনকি পরে সরবরাহ করা কোল্ড ড্রিংকসেও কিছু মেশানো হয়েছিল বলে মনে হয় পরীমনির।
তিনি কোল্ড ড্রিংকসও পান করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হন নাসিরুদ্দিন। পরীমনি ও তার সঙ্গে থাকা জেমী ওয়াশরুমে যেতে চাইলে পরীকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
এমনকি পরীমনি ও জেমী বাসায় যেতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। নাসিরুদ্দিন পরীমনিকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন এবং মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন।
এতে তার দাঁতের মধ্যে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলার মধ্যে চলে যায়। এতে তার বুক জ্বালা করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীমনি ও জেমী চিৎকার ও কান্না করলে তাদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয় এবং গালাগালি করা হয়।
ওই রাতেই বনানী থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন পরীমনি।
‘ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে যাই’ উল্লেখ করে পরীমনি বলেন,দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা অভিযোগ রেকর্ড করেননি। বরং সকালে এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।’ এ সময় পুলিশের সাহায্যে হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন বলে উল্লেখ করেন পরীমনি।
এর আগে, ফেসবুক পোস্টে ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমনি লিখেন, আমাকে রেপ এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন। দীর্ঘ ওই ফেসবুক পোস্টে পরীমনি লিখেছেন.
বরাবর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমি পরীমনি। এই দেশের একজন বাধ্যগত নাগরিক। আমার পেশা চলচ্চিত্র। আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না। যাদেরকে পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে, দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!
আমি মেয়ে, আমি নায়িকা, তার আগে আমি মানুষ। আমি চুপ করে থাকতে পারি না। আজ আমার সাথে যা হয়েছে তা যদি আমি কেবল মেয়ে বলে, লোকে কি বলবে এই গিলানো বাক্য মেনে নিয়ে চুপ হয়ে যাই, তাহলে অনেকের মত (যাদের অনেক নাম এক্ষুণি মনে পড়ে গেল) আমিও কেবল তাদের দল ভারী করতে চলেছি হয়তো।