বাজরিগার অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অঞ্চলে বনাঞ্চলের পাখি। বর্তমানে এই পাখি পালন কারীর সংখ্যা বাংলাদেশে বেড়েই যাচ্ছে। অসাধারণ সুন্দর এই পাখিটি যদি সঠিক নিয়মে লালন পালন করা যায় তা আপনাকে ও আপনার পরিবারকে যেমন আনন্দ দিবে সেই সাথে ভালো পরিবেশ নিশ্চিত হলে ডিম দিয়ে বাচ্চাও উপহার দিবে।
আজ আমি সেইসব পাখিদের কথা বলতে চাই যারা একসময় রঙ্গিন পাখনা মেলে এই রাস্তা থেকে ঐ রাস্তায় ছুটোছুটি করতো। দল বেধে ঝাকে ঝাকে গল্প গুজবে ব্যস্ত সময় পাড় করতো। বছরের প্রথম থেকেই শুরু হয় অদৃশ্য এক ভাইরাসের কালো থাবা। যাকে খালি চোখে দেখা যায় না। তবে চেহারায় ভারি সুন্দর। নামটাও বেশ মিষ্টি “নভেল করোনা”। বয়স মাত্র পাঁচ মাস ১০ দিন। এরই মধ্যে ক্ষুধার জ্বালায় সারা বিশ্বের ৪ লাখ ০৮ হাজার ৬২৫ জন সুস্থ্য মানুষকে খেয়ে ফেলেছে।
ভয়ে কেউ বাহিরে বের হচ্ছেনা। বাজার ঘাটে কোন লোক সমাগম নাই। চায়ের ষ্টলে কোন আড্ডা নেই। মুখে মাস্ক লাগিয়ে যার যার কাজ সেরে বাসায় ফিরছে সবাই অল্প সময়ের মাঝেই। বাড়তি কাজের ওসিলায় বাহিরে যাওয়া ছেলে মেয়েদেরও একই অবস্থা। কেউবা ইচ্ছা করেই অফিস ফাকির জন্য বলছে “স্যার আজ আমার শরীরটা একটু জ্বর জ্বর মনে হচ্ছে।, তবুও আপনি বল্লে অফিসে আসবো।”
জীবন যখন থমকে গেছে তখন কলের চাকা বন্ধ। রুটি রুজির পথ বন্ধ হলে জীবন বিপন্ন হওয়ার ভয়ে অনেকেই ঝুকি নিয়েই ছুটছেন কর্মক্ষেত্রে। কেউবা বলছেন “আর কতোদিন থাকবো খাঁচায়”।