সুনামগঞ্জে খেলা নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদার (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে অর্ধশতাধিক লোককে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো- জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বড়মোহা গ্রামের খলিল খানের ছেলে আমিন খান (২১), আবুল খায়ের খানের ছেলে জাহির আলম খান (৩৫) ও মৃত গোলাপ খানের ছেলে মনতছির আলী খান (৬৫)।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে মৃত কলেজ ছাত্রের বাবা আনছার মিয়া জায়গীরদার বাদী হয়ে ৫১জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০/১২জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করার পর দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তাই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গত রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বড়মোহা গ্রামের ঈদগা মাঠে খেলা নিয়ে এলাকার দুই প্রভাবশালী গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এঘটনায় জাউয়াবাজার কলেজের ছাত্র নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদারসহ উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় কলেজ ছাত্রসহ ৪জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা সদর
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক কলেজ ছাত্র নাজিমুল ইসলাম জায়গীরদারকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে জানা জানি হওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে রাতেই পুলিশ মৃত কলেজ ছাত্রের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- মামলা দায়ের পর অভিযান চালিয়ে ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।