টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে বেশ কিছু চরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাড়ছে নদী ভাঙন। শুক্রবার বিকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমার মাত্র ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ধরলা ও তিস্তা অববাহিকার ৫০টি চরের নিচু এলাকা দুদিন ধরে প্লাবিত রয়েছে। এসব এলাকার পাট, ভুট্রা, আউস ধান, বীজতলা ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।
গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ। এছাড়াও ধরলা নদী সদর উপজেলা হলোখানা, সারডোব ও ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পাটেশ্বরী এলাকাতে ভাঙন শুরু হয়েছে।
তিস্তা নদী প্রবলভাবে ভাঙছে বজরা, হাতিয়া ও রাজারহাটের গাবুরহেলানে। অপরদিকে বৃহ্মপূত্র নদ সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের নুরানী পাড়ায় ভাঙন আতংক দেখা দিয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙামোড় ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাবু জানান, তার ইউনিয়নের রাঙামাটি ও খোঁচাবাড়ি গ্রাম দুটির বেশীর ভাগ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ফসল নিমজ্জিত হবার পাশাপাশি গ্রামীণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার এরশাদুল, আবুল হোসেন ও মমিনুল জানান, গত দুদিনের বৃষ্টিতে চর ফারাজিপাড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। এরই সাথে ব্রহ্মপূত্রের শাখা ও দুধকুমর নদীর সংযোগস্তলে ভাঙন শুরু হয়েছে।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন জানান, তার বাড়ির কাছে একটি রাস্তাসহ তিনটি রাস্তা বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। ফলে যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
তিনি আরো জানান, সারডোবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬০ মিটার অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ৩দিনে এখানে ২০টি পরিবার ভিটা হারিয়েছে। বিকল্প বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে ১৫টি গ্রাম।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, মধ্য জুলাইয়ের আগে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। যে সব এলাকায় নদী ভাঙন চলছে তা চিহ্নিত করে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।