রুপণ চন্দ্র দাশ পেশায় একজন চর্মকার। টঙ্গীর স্টেশন রোড এলাকার ফুটপাতে পাশের বস্তা পেতে জুতা সেলাই ও পলিশ করে সংসার চলে তার। দুই ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে রুপণ থাকেন টঙ্গীর নতুন বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম তিনি। করোনায় চলমান লকডাউনে আয়-রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে তার। এমন অসহায়ত্বের খবর পেয়ে রুপণের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে নোঁয়াগাও ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘ।
গত বুধবার সংগঠনটির কর্মীরা এক মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন রুপণের পরিবারের হাতে। ত্রান সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবণসহ ৩২ প্রকারের খাদ্য দ্রব্য।
খাদ্য সহায়তা পেয়ে নোঁয়াগাও ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
রুপণ বলেন, আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে নোঁয়াগাও ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের কর্মীরা এক মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আমার বাসায় আসেন।
গত কয়েকদিন লকডাউনের কারণে আয়-রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকমতো বাজার করতে পারতেছিলাম না। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলাম।
নোঁয়াগাও ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক এবং টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগ নেতা সোহেল রানা বলেন, একটি গণমাধ্যমে চর্মকার রুপণ চন্দ্র দাশের অসহায় জীবনযাপনের খবর পাই। তাৎক্ষনিক আমরা সংগঠনের কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেই রুপনের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর।
তিনি বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও কতদিন থাকবে কেউ বলতে পারছেনা। তাই অসহায় পরিবারটি যেন আগামী এক মাস নিশ্চিন্তে থাকতে পারে সেজন্য পুরো মাসের যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে দেওয়া হয়েছে।
আমাদের খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মিনিকেট চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, আদা-রসুন, ঈদ উপলক্ষে পোলাও চাল, সেমাই, বাচ্চাদের হাতে লাগানোর মেহেদিসহ ৩২টি আইটেম।
সোহেল রানা আরও বলেন, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তাঁর নির্দেশে আমরা সকল প্রকার মানবিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি।
এর আগেও আমরা পথশিশুদের শিক্ষা সামগ্রী, ঈদের জামা, করোনাকালীন সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রান সহায়তা পৌছে দিয়েছি। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মারুফ, মির আশরাফুল আহসান তনু, ফয়েজ বাবু, রনি হাসান, মোঃ সাগর প্রমুখ।