সুনামগঞ্জে অপহরণে ২৫দিন পর কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কিশোরের নাম- আরিফ হোসেন (১৭)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ভোলাখালী গ্রামের পিকআপ চালক কফিল উদ্দিনের ছেলে।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কিশোর আরিফ হোসেনকে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গত ১৬ জুন বুধবার দুপুরে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ীর কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে কিশোর আরিফ হোসেন।
এঘটনার প্রেক্ষিতে কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রথমে তাহিরপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে বিস্তারিত জানতে পেরে গত ২১ জুন কিশোর আরিফ হোসেনসহ ৩জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোর আরিফ হোসেনকে না পেয়ে তার বাবা কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠায়।
এই বিষয়টি জানতে পেরে কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য একটি ভিডিও বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় কিশোর আরিফ হোসেন।
এর আগে এই কিশোর গ্যাংয়ের লিডার সিহাব সারোয়ার শিপু ও তার ২ সহযোগী সীমান্তের টেকেরঘাট জামে মসজিদের তালা ভেঙ্গে মোটর সাইকেল চুরি করে পালিয়ে যায়। পরে পাশর্^বর্তী বাগলী এলাকা দিয়ে ভারতে পাচাঁর কালে চুরির মোটর সাইকেলসহ সিহাব সারোয়ার শিপু ও তার দুই সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বীরেন্দ্র নগর ক্যাম্পের
বিজিবি সদস্যরা। এঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দিয়ে কিশোর গ্যাং লিডার সিহার ও তার ২ সহযোগীকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়।
এরপর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত এলাকায় দিনদিন বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় সম্প্রতি কলেজ ছাত্রী অপহরণ হয়। তাই এব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের আন্তরিকত সহযোগীতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে তাহিরপুর সার্কেল এএসপি মোঃ বাবুল আখতার সাংবাদিকদের বলেন- গোপন সংবাদের ভিত্তি গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) ভোরে উপজেলার মধ্য তাহিরপুর এলাকা থেকে অপহরণ মামলার প্রধান আসামী আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার হেফাজতে থাকা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।