সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সোর্সসহ ৪ চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের মৃত সফি মেস্তুরির ছেলে লেংড়া
বাবুল (৪২), তার ভাই জামাল উদ্দিন (৩৯), পাশর্^বর্তী টেকেরঘাট বিসিআইসি খনি প্রকল্পের বাসিন্দা মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৪) ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জয়নাল মিয়া (২৮)।
আজ সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৪ চোরাকারবারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বালিয়াঘাট,
চারাগাঁও, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী লেংড়া বাবুল, লেংড়া জামাল, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসাক মিয়া, কামাল মিয়া, আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম, নুরু মিয়া,
জজ মিয়া, নবীকুল মিয়া, আমিনুল মিয়া, এরশাদ মিয়া, জসিম মিয়াসহ আরো ২০-৩০জনকে নিয়ে সিন্ডেকেড তৈরি করে সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, পাথর, কাঠ, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, গরু,
তক্ষক ও অস্ত্র পাচাঁরের পর পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করেছে। বিজিবি বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে অবৈধ মালামাল আটক করে কিন্তু সোর্সদের কখনোই গ্রেফতার করেনা।
গতকাল রবিবার (১১ জুলাই) রাত ৮টায় টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্প ও পুলিশ ফাঁসি সংলগ্ন চোরাকারবারী রফিকুল ইসলামের বসতবাড়িতে সোর্স লেংড়া বাবুল, জিয়াউর রহমান জিয়া ও ইয়াবা কালামগং তক্ষক ও ইয়াবা বিক্রি করবে এমন সংবাদ পেয়ে পাশর্^বর্তী বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন অভিযান চালায়।
এসময় সুকৌশলে সোর্স ইয়াবা কালাম ও জিয়াউর রহমান জিয়া পালিয়ে যায়। পরে সোর্স লেংড়া বাবুল ও তার ভাই জামালসহ তাদের সহযোগী রফিকুল ও জয়নাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন- গ্রেফতারকৃত ৪ চোরাকারবারীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪জন তক্ষক ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তবে অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।