সুনামগঞ্জের হাওরে ইঞ্জিনের নৌকা ডুবে দুই কিশোরীর মর্মান্তিক মৃত হয়েছে। এঘটনায় আহত অবস্থায় ৪জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খরব পাওয়া গেছে।
মৃত কিশোরীরা হলো- জেলার শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের শিশু মিয়ার মেয়ে চাঁদনী বেগম (১৬) ও একই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ছাবিনা বেগম (১৭)।
আজ শুক্রবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১১টায় হাওরের পানি থেকে দুই কিশোরীর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) সন্ধ্যা কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার গজারিয়া
এলাকার আত্মীয়র বাড়ি থেকে একটি ছোট ইঞ্জিনের নৌকা যোগে কিশোরী চাঁদনী বেগম ও ছাবিনা বেগম তাদের বাবা ও ভাইদেরকে নিয়ে নিজেদের বসতবাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের মির্জাকান্দা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
রাত অনুমান সাড়ে ৯টার সময় শাল্লার উপজেলার ভেড়ামোহনা হাওরে এসে পৌছার পর হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ইঞ্জিনের নৌকাটি ডুবে যায়। ওই সময় নৌকায় থাকা দুই কিশোরীসহ সবাই চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন
আরো নৌকা নিয়ে ছুটে এসে আপন মিয়া (২৬), সালমা বেগম (৮), সোহাগ মিয়া (১৮) ও লিটন মিয়া (২০) কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। কিন্তু কিশোরী চাঁদনী বেগম ও ছাবিনা বেগমকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যায়নি। তারা দুজন হাওরের পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এঘটনার খবর পেয়ে আজ শুক্রবার (৬ আগষ্ট) সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগীয় প্রায় ঘন্টাব্যাপী হাওরের পানিতে খোঁজাখুজি করে বেলা ১১টায় কিশোরী চাঁদনী বেগম ও ছাবিনা বেগমের মৃত দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাল্লা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- হাওরের পানি থেকে উদ্ধারকৃত ২ কিশোরীর মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন স্যারেন নির্দেশে দুপুরে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।