সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের অবৈধ মালামাল আটক করেছে বিজিবি। অন্যদিকে বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্ত দিয়ে সোর্সরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা মূল্যের
কয়লাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য ভারত থেকে পাচাঁর করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে ৬টি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। তার মধ্যে লাউড়গড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য জোরালো ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু সোর্স ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পৃথক অভিযান চালিয়ে লাউড়গড় ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত চোরাচালান সিন্ডিকেডের সদস্য আমিনুল মিয়া, জজ মিয়া, রফিক মিয়া,
নুরু মিয়া, জসিম মিয়া, এরশাদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম গংদের পাচাঁরকৃত ৪০ঘনফুট ভারতীয় পাথরসহ ৪টি ইঞ্জিন চালিত বারকি নৌকা ও ৮টি ঠেলাগাড়ি আটক করেছে। যার সিজার মূল্য অনুমান ৬লক্ষ টাকা। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারকারীদের কখনোই গ্রেফতার করা হয়না।
এজন্য সোর্সরা লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, মুকশেদপুর, শাহ আরেফিন মোকাম, বাকেরটিলা ও পুরান লাউড় এলাকায় সিন্ডিকেড তৈরি করে ভারত থেকে অবাধে মদ, বিড়ি, গাঁজা, ইয়াবা, অস্ত্রসহ কয়লা ও পাথর পাচাঁর করছে।
অপরদিকে আজ শনিবার (১৪ আগষ্ট) ভোরে বালিয়াঘাট ক্যাম্প কমান্ডার ওয়ালি উল্লাহ ও চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার ও এফএস রিপনের সহযোগীতা সোর্স ইয়াবা কালাম, রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব,
জিয়াউর রহমান জিয়া, শহিদুল্লাহ, হারুন মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার মিয়া, কদ্দুস মিয়া, লেংড়া জামাল ও জসিম মিয়ার নেতৃত্বে লাকমা, লালঘাট, বাঁশতলা, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পৃথক ভাবে প্রায় ৫লক্ষ টাকার মূল্যের কয়লাসহ মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও চাল ওপেন পাচাঁর করে নিয়ে যায়।
এজন্য পাচাঁরকৃত মালামালের মধ্যে ১ বস্তা অবৈধ কয়লা (৫০ কেজি) থেকে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের নামে ১শ টাকা ও চারাগাঁও ক্যাম্পের নামে ১ নৌকা অবৈধ কয়লা (১০ মে.টন) থেকে ৬ হাজার টাকাসহ সাংবাদিকদের নামে আব্দুর
রাজ্জাক ২হাজার টাকা ও তোতলা আজাদের নামে ১৫শ টাকা চাঁদা নিয়েছে সোর্স ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, রমজান মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈরব। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সোর্সদেরকে নিয়ে প্রতিরাতে এভাবেই জমজমাট চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য করছে বলে জানাগেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- আটককৃত অবৈধ মালামাল শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।