মঙ্গলবার, অক্টোবর ৮, ২০২৪
spot_img
Homeজাতীয়কুড়িগ্রামে নির্মিত সেতুতে সুফল পাচ্ছে না বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী

কুড়িগ্রামে নির্মিত সেতুতে সুফল পাচ্ছে না বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী

ছিটমহলবাসীর উন্নত নাগরিক সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে যোগাযোগের সুবিধার্থে পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবির টেংরাছড়া (বকনি) নালার উপর একটি সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি।

চার বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও এখন পর্যন্ত দুইপাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় যোগাযোগের কোনো কাজে আসছে না। ফলে অকেজো হয়ে পড়ে আছে সেতুটি।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিটে স্থলসীমান্ত চুক্তির মাধ্যমে ছিটমহলগুলো বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের পর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সঙ্গে যুক্ত হয় বিলুপ্ত সাহেবগঞ্জ ছিটমহল।

দেশের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ভারতীয় ছিটমহলগুলোয় শুরু হয় ব্যাপক উন্নয়ন। সরকার শুরু করে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন।

সে ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের শেষের দিকে দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের টেংরাছড়া (বকনি) নালার উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৪ মিটার দৈঘর্য ও প্রায় ৬ মিটার প্রস্ত একটি সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি।

নির্মাণের প্রায় চার বছর পার হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি যোগাযোগে কোনো কাজে আসছে না। ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হয়ে গেল টেংরাছড়া বকনি নালার উপর ব্রিজ হয়েছে কিন্তু ব্রিজের দুইপাশে রাস্তা তৈরি করা হয়নি। ব্রিজের ওপর দিয়ে সাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

রাস্তা না থাকলে ব্রিজ দিয়ে কি হবে? তাদের দাবি ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি সরকারের দায়িত্বশীল কেউ রাস্তা তৈরির জন্য ওই এলাকায় যাননি।

বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দা সাইদুর রহমান, শাহ আলম, বাদশা মিয়া বলেন, সরকারি উদ্যোগ না থাকায় এবং এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয় না থাকায় দীর্ঘদিনেও সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি।

ফলে যোগাযোগে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি নির্মাণের পর এখন পর্যন্ত সরকারের কোন প্রতিনিধি কিংবা ইন্জিনিয়ার সাব রাস্তা তৈরির জন‍্য স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেননি।একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।

এ ব‍্যাপারে পাথরডুবি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির মিঠুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমান বলেন, ছিটমহল বিনিময়কালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কয়েকজন ব্যক্তি সড়ক নির্মাণে জমি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় সেতুর দুই পাশে সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ