শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img
Homeবিশেষ সংবাদধর্ষণ মামলার দুই আসামি পলায়ন সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাময়িক বরখাস্ত

ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পলায়ন সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাময়িক বরখাস্ত

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,পুলিশী হেফাজত থেকে দুই আসামীর পলায়নের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল ড..বেনজীর আহমেদের এক আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশাল রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য, গত (১৮ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ধর্ষণ মামলার দুই আসামি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকার হাইওয়ে রোডের আল মদিনা হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টে থেকে পালিয়ে যায়।

ওই দিন আদালতে নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ধর্ষণ মামলার দুই আসামি ও ভিকটিমকে ঢাকার মালিবাগ সিআইডিতে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সহ একদল পুলিশ।

এরপর ফেরার পথে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার হাইওয়ে এলাকায় আল মদিনা হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খেতে যাত্রা বিরতি দেয়।

একপর্যায়ে আসামিরা পুলিশ পাহারায় টয়লেটে প্রবেশ করে। পরে দুই আসামি টয়লেটের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায় বলে দাবি করছে পুলিশ।

পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলো, সোনাইমুড়ীর বাট্টা গ্রামের মুজামিয়া বেপারী বাড়ির মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ জুয়েল (২৬) ও বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত মোঃআবদুল লতিফের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩০)। পরে পুলিশ পুনরায় পালিয়ে যাওয়া এক আসামিকে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় ওই দিনই তাৎক্ষণিক তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন- নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।

এছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে।

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ