মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পৃথক অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় সাড়ে ৮লক্ষ টাকা মূল্যে অবৈধ মালামালসহ মোটর সাইকেল, বারকি নৌকা ও হ্যান্ডট্রলি জব্দ করেছে বিজিবি।
কিন্তু চোরাচালানের মূল নায়ক সোর্স ও চোরাকারবারীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্ভর) বিকাল অনুমান ৫টায় জেলার তাহিরপুর
উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, রজনী লাইন, বুরুঙ্গাছড়া, চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমান
কয়লা ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বড়ছড়া শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৫শত কেজি চোরাই কয়লা উদ্ধার করে।
কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অপরদিকে ভোর ৪টায় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লাকমা, লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, জঙ্গলবাড়ি ও কলাগাঁও এলাকা দিয়ে সোর্স ইয়াবা
কালাম, রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, লেংড়া জামাল, একদিল মিয়া, কদ্দুস মিয়া, খোকন মিয়া, মানিক মিয়া, হারুন মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার মিয়া, শহিদুল্লাহ, করিম মিয়া,
এরশাদ মিয়া, কাসেম মিয়াগং ভারত থেকে পৃথক ভাবে প্রায় ১শত মেঃটন কয়লা ও চালসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ৩টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনা জেলার
কমলাকান্দা উপজেলার সদরের মনতলা এলাকার কয়লা ব্যবসায়ী আজিজ মিয়া ও সাজু মিয়া ডিপুতে নিয়ে মজুত করে। কিন্তু এব্যাপারে কোন প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি।
তবে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী থেকে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল মিয়া, জজ মিয়া, নুরু মিয়া, রফিক মিয়া, এরশাদ মিয়া, নাজিম মিয়া গংদের পাঁচারকৃত ৬শত কেজি কয়লা ও ৫টি
ইঞ্জিনের বারকি নৌকাসহ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার চিনাউড়া নামকস্থান থেকে ৯ বোতল ভারতীয় মদ, দোয়ারাবাজার উপজেলার বাগানবাড়ি সীমান্তের রাজারপুর এলাকা থেকে ৪শত
কেজি দেশী মটর ডাল, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তের গুচ্ছগ্রাম ও শিলডুয়ার এলাকা থেকে ৩শত কেজি দেশী মটর ডাল, পাশর্^বর্তী ডলুরা সীমান্তের সলুকাবাদ এলাকা থেকে
১৫ঘনফুট পাথর ও ১টি হ্যান্ডটুলি, মধ্যনগর উপজেলার মাটিরাবন সীমান্তের কড়াই বাড়ি থেকে ১৩বোতল ভারতীয় মদ পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেছে বিজিবি।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- পৃথক অভিযান চালিয়ে আটককৃত ৮লক্ষ ৫০হাজার ১শত টাকা মূল্যে অবৈধ মালামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও শুল্ক কার্যালয়ে পৃথক ভাবে জমা দেওয়া প্রক্রিয়া চলছে।