কোম্পনীগঞ্জে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেল ও বাদল অনুসারী শাহীন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

২৯২

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ঘনিষ্ঠ অনুষারী সেই আলোচিত অস্ত্রধারী শহীদ উল্যাহ প্রকাশ কেচ্ছা রাসেল (৩১) ও তার প্রতিপক্ষ বাদল চেয়ারম্যানের

অনুসারী ইউপি চেয়ারমান নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম শাহীন (৪৩) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক।

অপর গ্রেফতারকৃত শহীদ উল্যাহ প্রকাশ কেচ্ছা রাসেল (৩০) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকার মৃত সফি উল্যার ছেলে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারতদের নোয়াখালী চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে তাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন থেকে শাহীন চেয়ারম্যানকে কোম্পানীগঞ্জ থানা

পুলিশ ও উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড থেকে শহীদ উল্যাহ প্রকাশ কেচ্ছা রাসেলকে একটি এলজি,একটি পাইপগান ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

কেচ্ছা রাশেলের বিরুদ্ধে কোম্পনীগঞ্জ থানায় পুলিশ আক্রান্ত ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১৫ টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২ টি, ডাকাতি দস্যুতা ৩ টি, ১ টি চুরি সহ মোট ২৩টি ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্যঃ গত (১৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার করালিয়া দোকান ঘরে কেচ্ছা রাসেল ও ডাকাত মাসুদ অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া ও গুলি ছোঁড়ে।

পরে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীকে ধাওয়া করে গুলি ছোঁড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিও চিত্রটিতে দেখা যায় গুলির পর পিচ্ছি মাসুদ হাতে থাকা পিস্তল কোমরে রাখেন।

কেচ্ছা রাসেল প্রতিপক্ষকে গুলি ছোঁড়ের এবং কিছুক্ষণ সেখানে অস্ত্র হাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ শহীদুল ইসলাম দুই আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বুধবার দুপুরে নোয়াখালী চিফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.