বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
spot_img
Homeআইন-অপরাধভাষানটেক অজ্ঞাত মহিলা হত্যার রহস্য উদঘাটন, খুনি গ্রেফতার

ভাষানটেক অজ্ঞাত মহিলা হত্যার রহস্য উদঘাটন, খুনি গ্রেফতার

ভাষানটেকে কার্টনে ভর্তি অজ্ঞাত মহিলার লাশের পরিচয়সহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ভাষানটেক থানা পুলিশ। এ হত্যার মূল অভিযুক্ত আবু জিয়াদ রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৪ এপ্রিল, ২০২১ (রবিবার) ৬.৪৫ সময় মোহাম্মদপুর থানার আসাদগেট এলাকা থেকে খুনি রিপনকে গ্রেফতার করে ভাষানটেক থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল,২০২১ (বুধবার) সকাল ০৬:৩০ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর ঢাকা ডেন্টাল কলেজের ইমার্জেন্সি গেইটের পাশে দেয়াল ঘেঁষে রাস্তার উপর কার্টন ভর্তি অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভাষানটেক থানা পুলিশ ভিকটিমের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করেন। পরিচয় শনাক্তের পর ভিকটিমের মা থানায় এসে ছবি দেখে ভিকটিমকে শনাক্ত করেন। ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ এপ্রিল, ২০২০ (বৃহস্পতিবার) ভাষানটেক থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়।

ঘটনাস্থল হতে পুলিশ এক জোড়া প্লাস্টিকের স্যান্ডেল, একটি ভিজিটিং কার্ড, একটি খাকি রংয়ের কাগজের কার্টন, গায়ে BH/FEW/MCHEDI, SOHAG-০১৬১০-৫৮২০২০ লেখা আছে উদ্ধার করেন।

ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, মামলা রুজুর পর উদ্ধারকৃত কার্টনের গায়ে লেখা মোবাইল নম্বারের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত মোবাইল নাম্বার ব্যবহারকারী ফিরোজ আল আনামকে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা এলাকা হইতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে মিরপুর থানার পশ্চিম কাজীপাড়া বসুন্ধরা রোড়ে তাদের অনলাইন ব্যবসা মেঘা এশিয়া স্কাইশপ অফিসের আশপাশে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়।

ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার (৩১ মার্চ) রাত ০৯ :২০ টায় একটি ছেলে ও একটি মেয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর সাড়ে দশটায় ছেলেটি কাঁধে করে একটি কার্টন নিয়ে এসে রিক্সাযোগে চলে যায়।

উক্ত ভিডিও ফুটেজ দেখে ফিরোজ ছেলেটিকে অনলাইল ব্যবসার ডেলিভারী বয় রিপন মর্মে শনাক্ত করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর আসাদ গেইট এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম ডিএমপি নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত রিপন ৩১ মার্চ, ২০২১খ্রিঃ, রাত ৮ টায় মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় অর্ডারের মাল ডেলিভারী দেন। সে ফেরার সময়ে ভিকটিমকে তার অনলাইন ব্যবসা মেঘা এশিয়া স্কাইশপ অফিসের বাসায় নিয়ে যান। বাসায় আর কেউ ছিল না। সেখানে গ্রেফতারকৃত রিপনের সাথে ভিকটিমের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রিপন উত্তেজিত হয়ে ভিকটিমের গলা চেপে ধরে। এতে ভিকটিম মারা যায়।

ভিকটিমের লাশ বস্তাবন্দি করে কার্টনের ভিতরে রেখে স্কসটেপ দিয়ে পেচিয়ে পার্সেল মত বক্স তৈরী করে। এরপর বাসা থেকে কার্টন কাঁধে করে নিয়ে এসে রিক্সাযোগে মিরপুর ১৪ নম্বরে ডেন্টাল কলেজের পাশে ফাঁকা জায়গায় কার্টনটি নামায়। রিক্সাওয়ালা ভাড়ার টাকা নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত রিপন লাশ ভর্তি কার্টনটি ফেলে রেখে চলে যায়।

আজ (৫ এপ্রিল) গ্রেফতারকৃত রিপন বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

সূত্র- ডিএমপি

spot_img
এই বিভাগের অনান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

জনপ্রিয় সংবাদ