মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে চাচা ও শিশু কন্যাসহ পৃথক ঘটনায় ৩জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতরা হলো- জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের
গনিগঞ্জ গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ব্যবসায়ী মিলন আহমেদ (২৯), ধর্মপাশা উপজেলা সদর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের উসমান খাঁ (৩৬) ও সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার
(৮)। তাদের মধ্যে শিশুকন্যা সুমাইয়া আক্তারের লাশ আজ শুক্রবার (৮ অক্টোরব) সকাল ৮টায় নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্টান উপলক্ষে মায়ের সাথে জেলার দিরাই উপজেলায়
নানা ঈমান আলীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে কালনী নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুকন্যা সুমাইয়া আক্তার। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে অনেক খোঁজাখুজি করেও ওই শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
অবশেষে আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় কালনী নদীর চামটি নামক স্থানে শিশুকন্যা সুমাইয়া আক্তারের লাশ পানিতে ভেসে উঠলে এলাকাবার লোকজন উদ্ধার করে। অন্যদিকে ধর্মপাশা উপজেলার রাধানগর গ্রামে ভাতিজির
বিয়ের অনুষ্টানে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় চাচা উসমান খা। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
অপরদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী মিলন আহমেদ মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জ-সিলেট আ লিক মহাসড়কের আহসানমারা সেতুর পাশে সিলেটগামী একটি পিকআপ ভ্যান ধাক্ষা দেয়।
এঘটনায় মিলন আহমেদ মোটর সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকার উপস্থিত লোকজন পিকআপ ভ্যানটি আটক করে থানায় খবর দেয়। এসময় ঘাতক চালক পালিয়ে যায়।
পরে হাইওয়ে পুলিশ এসে আহত ব্যবসায়ী মিলন আহমেদকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।
দিরাই থানার ওসি আজিজুর রহমান, ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরী ও হাইওয়ে পুলিশের এসআই রেজাউল করিম সাংবাদিকদের পৃথক ৩টি ঘটনায় শিশুকন্যাসহ ৩জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।