কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৭টি মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮জনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনায় বুধবার(১৩ অক্টোবর) রাতে উলিপুর উপজেলার
গুনাইগাছ, থেতরাই ইউনিয়নে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৮জন কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
নেফরা শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের সভাপতি নিপেন রায় বলেন, রাত ১১টার দিকে প্রায় ৫ থেকে ৭‘শ লোক এসে মন্দিরের গ্রিল টিন, প্রতিমা ও পাশের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে। এরপর খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেয়।
হোকডাঙা ভারতপাড়া সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক কমলেন্দু রায় জানান, রাত বারোটার দিকে লাঠি শোঠা নিয়ে একদল লোক এসে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও পাশের বাড়িতে হামলা করে তারা।
পশ্চিম কালুডাঙ্গা ব্রাহ্মনপাড়া দূর্গা মন্দিরের পুরোহিত জীবন কৃষ্ণ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২’শ মানুষ এসে মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে প্রতিমাসহ সব কিছু ধ্বংস করে দেয়।
এছাড়াও পশ্চিম কালুডাঙ্গা সর্বজনীন দূর্গা মন্দির, থেতরাই ফাসিদাহ বাজার সার্বজনীন দূর্গামন্দির, হাতিয়া পুরাতন অনন্তপুর বাজার সার্বজনীন দূর্গামন্দির, হাতিয়া ভবেশ নম:দাস পাড়া দূর্গা সর্বজনীন মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা। বুধবার রাত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিতে ২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন,রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওয়ালিদ হোসেন, পুলিশ সুপার
সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, এখন পর্যন্ত ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের গেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘিরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মন্ডপে হনুমান মূর্তিতে পবিত্র কুরআন শরীফ রাখার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।