দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আবারো রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও অনেক বেড়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৮৪ জনে। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৫২ জনে।
করোনাভাইরাস নিয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার (৫ এপ্রিল) দেশে আরও ৭ হাজার ৭৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ৫২ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৬৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৩ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ২৪ লাখ ৪ হাজার ৪২৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫০৩ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৯০ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৫৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৯৭ জনের।
আক্রান্তে ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৩ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৭ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে ফ্রান্স রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৬৩ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৯৬ হাজার ৮৭৫ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৭১৭ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, তুরস্ক অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।