ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকালে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রামসহ সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সার্ভিস চালু থাকবে। তবে শহরের বাইরের কোন পরিবহন শহরে প্রবেশ করতে পারবে না, এবং বেরও হতে পারবে না বলে জানান তিনি।
লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহনে চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এসময় ওবায়দুল কাদের ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকাধীন সড়কে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করবে বলে জানান। কাদের বলেন, প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
কোনভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লায় গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে। আগামীকাল ৭ এপ্রিল বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন। এর আগে গত ৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারাদেশে লকডাউন শুরু হওয়ায় গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।